কফিনবন্ধী হয়ে ফিরল ২৩ মরদেহ
প্রকাশিত : ১৬:২১, ১৯ মার্চ ২০১৮
গত সাত দিন আগে নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের মরদেহ কফিনবন্দী হয়ে দেশে ফিরেছে। সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডু থেকে বিমানবাহিনীর একটি উড়োজাহাজ তাদের মরাদেহ আনা হয়েছে।বিকালে ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে তাদের জানাজার হওয়া কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে আত্মীয় স্বজনসহ রাজধানীর মানুষ শেষ বারের মতো দেখতে ভিড় করছে।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ২১১ গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিল চার ক্রুসহ ৭১জন আরোহী নিয়ে, সেদিনও ছিল সোমবার।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হলে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ আরোহীর মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করার পর নেপালি কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। সোমবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউএস-বাংলার উপস্থিত কর্মকর্তারা তাদের জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে ২৩টি কফিন পাঠানো হয় সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই ঠিক এক সোমবার পর দেশের পথে তাদের ফিরতি যাত্রা শুরু হয় বেলা আড়াইটায়, বিমানবাহিনীর কার্গো ফ্লাইটে চড়ে।
এই ২৩ জনের মধ্যে ইউএস-বাংলার পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন।
আর যাত্রীদের মধ্যে আছেন ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামান।
/এআর
আরও পড়ুন