নিহতের স্বজনরা বীমা থেকে পাবেন ২ লাখ ডলার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:১৫, ২০ মার্চ ২০১৮
নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবার বীমার অংশে পাবেন প্রায় দুই লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমান এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আন্তর্জাতিক বীমা সংস্থার নিয়োজিত লস এডজাস্টারের প্রতিবেদন হাতে পেলেই বীমার অর্থ পরিশোধ করা হবে।
বীমার অর্থ পরিশোধ ও বিধ্বস্ত বিমানের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শুরু হবে বলে জানিয়েছে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বীমার অর্থ নিয়ে নিহত কোন যাত্রীর পরিবার অভিযোগ করলে তা নিস্পত্তি করবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইউএস বাংলার বিএস ২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন।
বিমানটির দেশি-বিদেশি দুটি বীমা প্রতিষ্ঠানে ইন্স্যুরেন্স থাকায় দুর্ঘটনার পরই তদন্তে নামে এক্স এল ক্যাটলিন ও লয়েড লন্ডনের নিয়োগকৃত বিশেষজ্ঞ দুইটি লস এডজাস্টার প্রতিষ্ঠান।
ম্যাকলারেন এভিয়েশন লিমিটেড ও হলম্যান ফেনউইক উইলিয়ান নামের এই দুটি প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানের পর দেওয়া প্রতিবেদন হাতে এলেই বীমার অর্থ পরিশোধ করবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বীমার অর্থ পরিশোধের পর্যায়ক্রম বা প্রক্রিয়া কি হবে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এই প্রতিষ্ঠানের পূনঃ বীমা অংশের ৫০ শতাংশ সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং বাকি ৫০ শতাংশ বিদেশি বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কে এম দাস্তুর কোম্পানির মাধ্যমে পুনঃবীমা আছে।
বিধ্বস্ত বিমানটির হাল বীমার অংক ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। লন্ডনের লিড ব্রোকারের নিয়োগকৃত সার্ভে প্রতিবেদনের মাধ্যমে বীমার অর্থ পাবে ইউএস বাংলা।
নিহত ২৬ বাংলাদেশির পরিবারকে বীমার অর্থ পরিশোধে আন্তরিক বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। বাকিদের বিষয়ে বিদেশি বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে কর্তৃপক্ষের।
নিহতদের পরিবার বীমার অর্থ থেকে বঞ্চিত হবার অভিযোগ উঠলে তা পরিশোধে ব্যবস্থা নেবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
লস এডজাস্টার প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তের পরিবারের প্রাপ্য বীমার অংশ ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন