বিশ্ব পানি দিবস আজ
প্রকাশিত : ০০:০৫, ২২ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:১৭, ২২ মার্চ ২০১৮
বিশ্ব পানি দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। সরকারিভাবে আগামী ২৭ মার্চ দিবসটি পালন করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পানির জন্য প্রকৃতি’।
দিবসটি সামনে রেখে গতকাল পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ্ যৌথভাবে আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ মিলনায়তনে ‘‘Exploring Nature-based Solutions to Water Challenges in Bangladesh” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বংলাদেশের পানি সমস্যা সমাধানের জন্য নীতি-নির্ধারক, সিভিল সোসাইটি ও জনগণের সমন্বিত পরিকল্পনার বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আশরাফ আলী ‘‘Exploring Nature-based Solutions to Water Challenges in Bangladesh” শীর্ষক প্রবন্ধটি উপস্থাপনা করেন। প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিল্পায়ন, গৃহস্থালী ও কৃষিভিত্তিক উৎস সমূহ থেকে ব্যপক মাত্রায় নির্গত দূষণের ফলে সৃষ্ট পানি সল্পতা মোকাবেলায় প্রকৃতি নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে পরীক্ষিত কিছু উদ্যোগ রয়েছে যা একইসাথে ইকো সিস্টেম রিহাবিলিটেশন এবং ওয়াটারশেড প্রটেকশন করার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী পানির সংস্থান সম্ভবপর হয়।
প্রবন্ধ উপস্থাপক আরও বলেন, সমস্যা সমাধানে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন প্রয়োজন, যান্ত্রিক প্রকৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে নদীকে কেবল পানির প্রবাহ হিসাবে না দেখে জীবন্ত নদী অথবা সমগ্র প্রকৃতির অংশ হিসাবে বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। গ্রীন ইকো রুফ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও রিচার্জ, গ্রীন স্ট্রিট, বাওরিটেনশন এন্ড ইনফিলট্রেশন, ড্রেনেজ সিস্টেম ইত্যাদি প্রকৃতি নির্ভর সমাধান-এর উপর গবেষণা এবং প্রচারণা হওয়া প্রয়োজন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, পানির দুষণ সমস্যায় আমাদের পরিবেশ ও প্রাতিবেশকে রক্ষা করে পানির ব্যবস্থাপনায় জোর দিতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিলেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
/ এসি /
আরও পড়ুন