‘মুক্তিযোদ্ধারা বছরে আরো তিনটি বোনাস পাবেন’
প্রকাশিত : ১৯:২৭, ২৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৯:২৮, ২৩ মার্চ ২০১৮
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। বর্তমান সরকার তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানের পরিধি বাড়াচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমানে দুই ঈদে দুইটি বোনাস পেলেও অচিরেই তারা আরো তিনটি বোনাস পেতে যাচ্ছেন। মহান স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনটি বোনাস দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারী কলেজ মাঠে সিংড়া উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরআগে তিনি সিংড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান বক্তা ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সব মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধকালীন ১০ মিনিটের বক্তব্য রেকর্ড করে আজীবন তা সংরক্ষণের ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসা ও ঔষধ সুবিধা প্রদান করতে যাচ্ছে সরকার। মৃত্যু পরে সব মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ডিজাইনে করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের সব যুদ্ধক্ষেত্র ও গণহত্যার বদ্ধভূমিতে একই ডিজাইনে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। বিসিএস পরীক্ষায় ১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়কালীন বিভিন্ন ঘটনাবলীর উপর ৫০ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে ৫০ সহ মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকেরা এদেশকে মিনি পাকিস্তান বানিয়েছিল। আমাদেরকে আমাদের শ্রেষ্ঠতম অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে, ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীনতাই উপহার দেননি, এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। আগামীতে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প’ এর আওতায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের সকল উপজেলায় একটি করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত পাঁচ তলা ফাউন্ডেশনের সিংড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স-এর ত্রিতল ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয় থাকছে। সূত্র: বাসস
আর
আরও পড়ুন