নেপালে বিমান বিধ্বস্ত
সংকটাপন্ন কবীরকে নেওয়া হচ্ছে সিঙ্গাপুরে
প্রকাশিত : ১৫:০৫, ২৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৫:০৭, ২৪ মার্চ ২০১৮
ঢামেকে কবীরের শারীরিক অবস্থা জানাচ্ছেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত কবীর হোসের অবস্থা সংকটাপূর্ণ। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে। এর আগে শারীরিক অবস্থান অবনতি ঘটনায় কবীরকে ঢাকা মেডিকেলের আইসিউতে ভর্তি করা হয়।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভাকক্ষে চিকিৎসকদের একটি দল এবং কবির হোসেনের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সভা হয়। সভা শেষে দুপুর ১২টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্তলাল সেন জানান, আহত কবির হোসেনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারের সম্মতিক্রমেই তাঁকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে।
কবীরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সামন্তলাল সেন বলেন, আমাদের সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কবিরের দুই পায়ে ফাটল আছে। এর মধ্যে ডান পায়ের অবস্থা খারাপ। সেখানে ইনফেকশন হয়ে গেছে। আমরা ডান পা কেটে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কবিরের শুধু পায়ের ফ্রাকচার সেটা বলা যাবে না। তাঁর ডান ফুসফুসে সমস্যা আছে। আঘাতের কারণে তাঁর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে গেছে। রক্তের বিলুরোবিন কমে গেছে। নিউমোনিয়ার সমস্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা খারাপ।
গত ১২ মাচ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার একটি বিমান। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ৭১ আরোহী ছিলেন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের কবীর কসমেটিক ব্যবসার সূত্রে নেপালে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে নেপালের একটি হাসপাতালে কিছুদিন চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে ঢামেক বার্ন ইউনিটেই চিকিৎসাধীন ছিলেন কবীর।
/ এআর /
আরও পড়ুন