প্রাথমিকভাবে ইউএস-বাংলা পাবে ৪২ লাখ ডলার
প্রকাশিত : ২৩:১৬, ২৬ মার্চ ২০১৮
নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে প্রাথমিকভাবে ৪১ লাখ ৭২ হাজার ডলার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় ফ্লাইটের ৭১ আরোহীর মধ্যে দুর্ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি। আহত ৯ বাংলাদেশির মধ্যে চারজন এখন ভারত ও সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশে।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান গণমাধ্যমকে জানান, বিদেশি বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করে ৪১ লাখ ৭২ হাজার ডলার ইউএস-বাংলাকে প্রাথমিকভাবে দেওয়া হবে। এটা শুধু উড়োজাহাজের ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য দেওয়া হচ্ছে।
শাহরিয়ার আহসান বলেন, তাদের রিলিফ দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে এই টাকা সংগ্রহ করেছি। ধাপে ধাপে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আরো অর্থ পাবে।
নিহত ও আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানতে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইউএস-বাংলার মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমরা বীমা কোম্পানিকে জানিয়েছি, এখন বাকি দায়-দায়িত্ব তাদের।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যাত্রীদের বীমার দায়িত্ব বিমান পরিবহন সংস্থাকে নিতে হয়। এভিয়েশন বীমার আওতায় ইউএস-বাংলার যাত্রীসহ সম্পদের ঝুঁকি নিয়েছে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স। সেনা কল্যাণ পুনঃবীমা করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বীমা করা হয়েছে ‘কে এম দাস্তুর’ নামের একটি ব্রিটিশ বীমা কোম্পানির কাছে। এর ফলে ক্ষতিপূরণের টাকা এ তিন প্রতিষ্ঠানকে ভাগাভাগি করে দিতে হবে।
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিক শামিম এর আগে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ইউএস-বাংলার ওই উড়োজাহাজের জন্য যে বীমা করা হয়েছে, তাতে মোট দায় হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে উড়োজাহাজের জন্য ক্ষতিপূরণ হতে পারে ৭০ লাখ ডলার। আর যাত্রীরা টিকিট কাটলেই বীমার আওতায় চলে আসে।
সাধারণ বীমার এমডি শাহরিয়ার আহসান বলেছিলেন, ওই উড়োজাহাজের নিহত যাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য দুই লাখ ডলার পর্যন্ত আদায়ের চেষ্টা করবেন তারা।
তবে ইউএস-বাংলার কর্মকর্তা কামরুল বলেছিলেন, নিহতরা সমান পরিমাণ ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তাদের সদস্যসংখ্যা, বয়স, সামাজিক অবস্থাসহ বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।
আর
আরও পড়ুন