ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উপকূল লণ্ডভণ্ড
প্রকাশিত : ০৯:১৭, ২২ মে ২০১৬ | আপডেট: ০৯:১৭, ২২ মে ২০১৬
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে উপকূল। মারা গেছে ২৩ জন। রোয়ানুর প্রভাবে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক। বাড়িঘর উড়িয়ে নেওয়ায় অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। অতি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা; ভেসে গেছে ক্ষেতের ফলস, পুকুর ও ঘেরের মাছ। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। রোয়ানুর আঘাতে বিধ্বস্ত বিস্তীর্ণ জনপদ। চারদিকে রোয়ানুর আঘাতের চিহ্ন।
ঝড়ে বিধ্বস্ত ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও দৌলতখানের বেশীরভাগ এলাকা। খোলা আকাশের নিচে অনেক পরিবার। বাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে সব কিছু। ঘরবাড়ি, দোকানপাট, মাছের ঘের, ক্ষেতের ফসলÑ সব হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জেলায় ৭ লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
বরগুনায় পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৪৫টি গ্রাম। পানিবন্দী আছে লাখো মানুষ। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
জেলায় দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বলছে স্থানীয় প্রশাসন।
কক্সবাজারে কুতুবদিয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম।
পটুয়াখালীতেও বিধস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। জোয়ারের প্রভাবে কলাপাড়া এবং রাংগাবালীসহ সব উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
শনিবার দুপুর থেকে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবে উপকূলীয় ৬ জেলায় মারা গেছে ২৩জন ।
আরও পড়ুন