ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

‘৭৫ পরবর্তী ক্ষমতাসীনরা সম্পদ বানাতে ব্যস্ত ছিল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৩, ২৭ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২০:১৬, ২৭ মার্চ ২০১৮

ছবি: ফাইল ফটো

ছবি: ফাইল ফটো

৭৫’পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে তারাই সাঁজ-গোজ, নিজেদের সম্পদ গোছানোতে ব্যস্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেপ্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাতিনি বলেন, তারা দেশের মানুষের দিকে তাকায়নি, দেশের উন্নয়ন করেনি, শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলকিন্তু বঙ্গবন্ধু সারা জীবন কষ্ট করেছেন দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য

মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলেক্ষ এক সভাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ দেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল  বঙ্গবন্ধুর। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপ থেকে স্বল্প উন্নোত দেশে পরিনত করেছিলেন। এত অল্প সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ গড়ার রেকর্ড বিশ্বে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির নেই।

তিনি বলেন, এ দেশের জন্য বঙ্গ বন্ধু কষ্ট করে গেছেন। আমরা কখনও ভালো কাপড়-চোপড় পরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলতেন যে দেশের মানুষ এক বেলা না খেয়ে থাকে সে দেশে কিভাবে জৌলস দেখাবে। বরং এদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, কাজ কর।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষমতা বিকেন্দ্রী করণ করে যখন সুফল পেতে শুরু করেন তখনই পাকিস্তানের দোসররা তাকে শহীদ করেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধিদের বিচার শুরু করেন, জিয়া ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করেন। তাদেরকে এ দেশের নাগরিক বানিয়েছিলেন, তারা তাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছেন। জাতির পিতার ভাষণকে তারা নিষিদ্ধ করেছিল, যে ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, ৭৫’র পরবর্তি সরকার দেশের উন্নয়ন বাদ দিয়ে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে ব্যবস্ত ছিল। এসময় শিক্ষা, অর্থনীতি, অবকাঠামো উন্নয় হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। পরে ২০০১ সালে আবারো দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় বিএনপি-জোট সরকারের সময়। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ২৮ শাতংশে উন্নতি করেছি, রফতানি ১০ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৪৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নতি করেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নতির কাজ চলছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা চাইনি জিয়াউর রহমান। তার ক্ষমতায় আসার পার সংবিধান লঙ্ঘন করে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তারা স্বাধীনতার চেতনা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মানুষের উপর নির্যাতন করে। এবং ক্ষমতায় আসার জন্যই মানুষ পুড়ায়ে হত্যা করছে। বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ মেরেছে। দেশকে সন্ত্রাসী দেশে হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানেরা বাঙ্গালি জাতির উপর আজীবন নির্যাতন ও বৈষম্যের চালিয়েছে। শেখ মুজিব বাঙ্গালিদের অধিকার আদায়ে কাজ করছে। স্বাধীনতার ঘোষাণা দিয়েছে।

জাতির পিতা বাংলার মানুষের মুক্তি দাবিতে ৬ দফা ঘোষাণা দেয়। ৬ দফা ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতির পিতাকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাঙ্গালি জাতি কি ভাবে  স্বাধীনতা লাভ করবে তার বড় পরিকল্পা করেছিলো। স অনুযায়ী ৬ দফা ঘোষণা করে।  ৬ দফা মূল দফা হলো ছিলো স্বাধনীতা। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার আন্দোলনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলা মানুষ কারো কাছে মাথানত করে না।

এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। মুক্তিযোদ্ধা জয়ী হবে বাঙ্গালি এটা জতির পিতা আগেই জানতেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য আওয়ামী লীগের নের্তাকর্মীরা।

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি