ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

মানবপাচারে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ: শিশুপাচাররোধে সুপারিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৪, ২৯ মার্চ ২০১৮

এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও মানবপাচারের জন্য ভয়াবহ হয়ে ওঠেছে। মূলত ব্যক্তি অধিকার হরণ করে যৌন দাসত্ব, জোরপূর্বক শ্রম, অঙ্গপাচার করাসহ মানবপাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর মানবপাচারের সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার হচ্ছেন শিশুরা। তাই শিশুদের সুরক্ষায় প্যাসিফিক ট্রানজিশনাল ক্রাইম নেটওয়ার্ক সরকারের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে।

সরকার মানবপাচার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২’ এবং `মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন বিধিমালা ২০১৭` প্রনয়ণ করেছে সরকার। তবে মানবপাচাররোধে শিশুদের বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হয়েছে দাবি করে সংস্থাটি জানায়, সরকার মানবপাচার প্রতিরোধে ২০১৮-২২ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এতে শিশুদের বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তাই এই কর্মপরিকল্পনাসহ মানবপাচাররোধে সব ধরণের আইনে শিশুদের বিষয়টি সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

প্যাসিফিক ট্রানজিশনাল ক্রাইম নেটওয়ার্ক আরও জানায়, শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই দেশ থেকে পাচার হয়েছে দুই হাজার ২০১ জন শিশু। এর মধ্যে মানবপাচার সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৬৭৭ টি আর বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই হাজার ৪৫১ টি। কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্য সংগঠন ইনসিডিন বাংলাদেশ- এর নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী জানান, ২০১৮-২২ সালের কর্মপরিকল্পনায় শিশুদের বিষয়টি সংযুক্ত করা, মানবপাচার প্রতিরোধ ও অগ্রগতি তদারকিতে শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, বিধিমালা- ২০১৭ এ বর্ণিত মানব পাচার দমন সংস্থা তহবিল ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালকে কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় শিশুদের অন্তর্ভুক্ত করা ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়া উচিত। কনসোর্টিয়াম এর সদস্য সংগঠন

বিএনডব্লিউএলএ- এর সাধারন সম্পাদক সীমা জহুর বলেন, শিশুর প্রতি সব ধরনের সহিংশতা প্রতিরোধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিধান অনুযায়ী বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা, সচেতনতামূলক সরকারি ও বেসরকারি প্রচারাভিযানসমূহের উন্নততর সমন্বয় করা এবং সহিংসতার ঝুঁকি হ্রাসে শিশু পাচার, শিশু শ্রম, শিশু বিবাহ, শিশুর শারীরিক মানসিক ও যৌন নির্যাতন এবং এর কুফল সুরক্ষা ও প্রতিরোধ সম্পর্কে তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা আরো সক্রিয় হওয়া উচিত।

পিটিসিএন মানবপাচার প্রতিরোধে ৯টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনে জাতীয় পরিকল্পনা ২০১৮-২২ এ শিশুদের সংযুক্তি করা, শিশুর প্রতি সব ধরণের সহিংসতা বন্ধ করা ও শিশুদের প্রতি সহিংসতাবিষয়ক মামলাগুলোর জন্য শিশুদের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করা।

এএ/এমজে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি