সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব
প্রকাশিত : ২০:০৪, ৩০ মার্চ ২০১৮
সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হানা দিয়েছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে শীলাবৃষ্টি। অনেকেই বলছেন এমন শীলাবৃষ্টি এর আগে কখনো দেখেননি। এ জন্য দেশের নদীবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ২ নম্বর সর্তকতা সংকেত।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, গত কয়েকদিন থেকেই দেশের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তা বেড়েছে। আর আজ শুক্রবার দেশের সব বিভাগেই শুরু হয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের সঙ্গে পড়ছে শিলা।
শুক্রবার রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বজ্র বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, এখন কালবৈশাখীর সময়। এটা ঘনঘন হবে। শুক্রবার দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়েই এটা বয়ে যাচ্ছে। তবে সামুদ্রিক সতর্কতা নেই। ভারী বৃষ্টিপাতেরও কোনো পূর্বাভাস নেই। শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বেশি ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতেও হঠাৎ কালবৈশাখী হানা দেয়। দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বিকেল চারটার পরে আকাশ একেবারে ঘনকালো রুপ ধারণ করে।
বিকেলে হঠাৎ ধূলিঝড়ে রাজধানীর সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দমকা বাতাসে অনেক হালকা যান ও মোটরসাইকেল আরোহীকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। সাধারণ পথচারীরা ছুটোছুটি করে বিভিন্ন দোকানের ছাউনি বা বিল্ডিংয়ের কার্নিশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ো হাওয়ায় সব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার উপক্রম হলেও বৃষ্টিপাত তেমন হয়নি কোথাও।
এসি
আরও পড়ুন