বন্দর কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে: রাষ্ট্রপতি
প্রকাশিত : ২৩:৫৩, ৪ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ০০:০৬, ৫ এপ্রিল ২০১৮
বন্দরগুলোকে লাভজনক এবং এগুলোর সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে সমন্বিত উদ্যোগের আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার খুলনা মহানগর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলার ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের উন্নত সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে হবে। এর কর্মকাণ্ড সহজতর ও সাশ্রয়ী করতে হবে।
তিনি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত মালামাল খালাস ও কার্গো হ্যান্ডেলিং সহজতর করার আহবান জানিয়ে বলেন, ব্যবহারকারীরা যাতে স্বচ্ছন্দে বন্দর ব্যবহার করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণে নৌপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে বাণিজ্যের প্রতিটি স্তরে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনকে অর্থবহ করতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, কাসটমস ও বন্দরের অন্যান্য বিভাগের কর্মকান্ডে গতিশীলতা নিশ্চিতের আহবান জানান।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই বন্দরে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বাড়ছে এবং ইতোমধ্যে বিদেশী জাহাজের আগমনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এ কথা জেনে আনন্দিত যে, মংলা বন্দর দেশের একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে জাতীয় রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে, সংশ্লিষ্ট সকলে মংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি বিশেষ করে মংলা বন্দরের উন্নয়ন এবং এখানকার বিভিন্ন প্রকল্পে চীন ও ভারতসহ বাংলাদেশের বিদেশী বন্দরের সহায়তার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, তালুকদার আবদুল খালেক, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সমিতির (সিবিএ) সভাপতি এম সাইজুদ্দিন মিয়া।
রাষ্ট্রপতি এখানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক কাটেন এবং মংলা বন্দরের ওপর একটি ভিডিও উপভোগ করেন। এর আগে তিনি একটি গাছের চারা রোপন করেন। সূত্র: বাসস
আর
আরও পড়ুন