পুলিশকে গোলাপ দিয়েও রেহাই পাননি তারা
প্রকাশিত : ২০:২০, ৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২১:৩৮, ৮ এপ্রিল ২০১৮
বাংলাদেশে আন্দোলন সংগ্রাম মোকাবেলায় টিয়ার শেল এক পরিচিত নাম হয়ে ওঠেছে। আর সেই টিয়ারশেল মোকাবেলায় এবার নতুন কৌশল হাতে নিয়েছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে সর্ববৃহৎ পদযাত্রায় অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা। তবে লালগোলাপে আর শেষ রক্ষা হলো না আন্দোলনকারীদের। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের লাল গোলাপের ভালোবাসায় পিছু হঠলেও রাত পৌনে ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের লাটিপেঠা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
এর আগে রোববার দুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। মিছিল মিছিলে প্রকম্পিত করে তোলেন তারা। ওই মিছিলে বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে তারা মিছিল দেন- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’
পুলিশ জলকামান নিয়ে সেখানে শুরু থেকেই অবস্থান করছিলো। তখন পুলিশকে দমাতে আন্দোলনকারীরা লাল গোলাপ দিয়ে পুলিশকে বরণ করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছিল। ডিএমপির রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বিকালে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “তারা আন্দোলন করছে, করুক। জনদুর্ভোগ যাতে না হয়, সেজন্য অনুরোধ করছি।”
এদিকে সংসদ অধিবেশন থেকে কোটা সংস্কারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা। এই বিক্ষোভ শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর বিকালে দশম সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরু হয়। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছোড়া শুরু করে। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে লাঠিপেটা। পুলিশের হামলার মুখে কয়েক মিনিটের মধ্যে শাহবাগ মোড় থেকে ছাত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। পরে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করছে।
এমজে/
আরও পড়ুন