টিয়ারশেল-ফাঁকাগুলিতে ছত্রভঙ্গ আন্দোলনকারীরা
প্রকাশিত : ২০:৪৪, ৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২১:২৮, ৮ এপ্রিল ২০১৮
লাটিপেঠা আর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে রাজধানীর শাহবাগ চত্ত্বরে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারীদের রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ থেকে হঠাতে লাটিপেঠা আর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া শুরু করে পুলিশ। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই শাহবাগ চত্ত্বর ছাড়তে বাধ্য হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে অবরোধে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা। এদিকে পুলিশের লাটিপেঠা ও কাঁদানে গ্যাসের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে আজ রোববার বদুপুর ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, সংসদ অধিবেশন থেকে কোনো ধরণের আশ্বাস না আসা পর্যন্ত তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
এদিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় শাহবাগের আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ তাদেরকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বললেও আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করতে থাকেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনাকারীদের লক্ষ্য করে লাটিপেঠা করে পুলিশ। একপর্যায়ে ছাত্রদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় ছাড়তে বাধ্য হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান করছেন।
এদিকে পুলিশের হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী এক নেতা। তিনি জানান, সন্ধ্যার সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ হামলা চালালে অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে শাহবাগ। মিছিল থেকে স্লোগান আসে ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করে আসছে চাকরি প্রত্যাশীরা। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পটিয়ায় এক জনসভায় ঘোষণা করেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নাতি ও পুতিদের এ কোটা সুবিধা দেওয়া হবে। এ সময় তিনি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন।
এমজে/
আরও পড়ুন