কৃষি বিপণন আইন অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ১০ এপ্রিল ২০১৮
কৃষিপণ্য কেনা-বেচার সময় পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা মূল রসিদ সংরক্ষণ করবেন। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বিক্রেতাদের এসব রসিদ নিয়মিত পরীক্ষা করবেন। বিক্রেতাদের সংঘটিত অপরাধ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার করা হবে। এসব বিধান রেখে ‘কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, আইনটি পুরনো হলেও সাজা বাড়ানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে।
কৃষিপণ্য বা প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের গুণাগুণ রক্ষার বিষয়টিও নতুন আইনে গুরুত্ব পেয়েছে। প্র্রক্রিয়াকরণ কৃষিপণ্যের মোড়কে পণ্যের পুষ্টিমান ও উপাদানের শতকরা হার, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এবং বিক্রয়মূল্য উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। খসড়া আইনে রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপরিপক্ব বা অপরিণত ফল পাকানো যাবে না। দুধ, মাছ, মাংস, ফল শাকসবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান প্রয়োগ করা হবে।
খসড়া আইনে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীরা কৃষিপণ্য বা প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য বিক্রির সময় মোড়ক বা প্যাকেট ছাড়া পণ্যের ওজন করবে। পণ্যের ওজনের সঙ্গে মোড়কের ওজন সমন্বয় করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন