‘উপাচার্য ভবনে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হবে’
প্রকাশিত : ১৭:১১, ১৫ এপ্রিল ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল খান।
আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলা অবস্থায় উপাচার্যের বাসভবনে যে হামলা হয়েছে তার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করা হবে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাগুলো আমালে নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনায় জড়িতদের শিগগিরই খুঁজে বের করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত ও ইন্ধনদাতা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোহিঙ্গা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি পরিবারের থেকে পাঁচজন ফেরত নেওয়া এটা খুবই হাস্যকর বিষয়। আমরা আশা করবো তারা সবাইকে ফেরত নিবে। আর সবাইকে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
আসন্ন রমজানে নিত্রপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যাযে রাখার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এলাকাভিত্তিক ও বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান এর সভাপতিত্বে সভায় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমান।
সভায় আসন্ন রমজানে পণ্যমূল্য ক্রেতাদের নাগালে রাখতে চাঁদাবাজি বন্ধ, পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করণ, ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানোসহ ভিবিন্ন দাবির জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা (ব্যবসায়ীরা) পরিবহন চাঁদাবাজির কথা বলছেন। এ ব্যাপারে আমরা কঠিন ব্যবস্থা নিব। আপনারা সুনির্দিষ্ট করে বলুন কোন কোন ঘাটে এমন চাঁদাবাজির সমস্যা আছে।
তবে চাঁদাবাজি বন্ধে আপনাদের পরিশুদ্ধ হতে হবে। রাস্তায় অতিরিক্ত বোঝায় গাড়ি নামাবেন না। ২০ টনের কথা বলে ৩৫ টনের বোঝায় গাড়ি রাস্তায় চালালে তো পুলিশ থামাবেন। কারণ অভারলোডের জন্য রাস্তা নষ্ট হয়। তাই আপনাদের ড্রাইভারি লাইসেন্স, গাড়ীর লাইসেন্স থাকা জুরুরি। এগুলো থাকার পরেও যদি পালিশ বাড়াবাড়ি করে তার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ পুলিশ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
তিনি বলেন, আপনারা যে ভেজালের কথা বলছেন সেটা কিন্তু আপনাদেরই করা। তাই আপনারা পরিশুদ্ধ হলেই অনেক কিছু কমে আসবে। মোবাইল টিমের নামে কোন হয়রানিমূলক অভিযান দরকার হবে না।
মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিয়া রহমান বলেন, পৃথিবীর মুসলিম অধ্যুষিত দেশের দিকে তাকালে দেখা যায় সেখানে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম কামে যায়, স্বস্তিতে থাকে ভোক্তা। সেখানে বাকী ১১ মাসের বাজারব্যবস্থার যে চিত্র তার সঙ্গে রমজান মাসকে মেলানো যায় না। কিন্তু বাংলাদেশে এ চিত্রপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশের এ চিত্রপট ভিন্ন করতে এবং দ্রব্যমূল্য নাগালে রাখতে চাঁদাবাজি বন্ধ, পরিবহন হয়রানি বন্ধ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করণ, ভেজাল বন্ধের মতো কিছু বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, আমরা ব্যবসায়ী, আমাদের চাঁদাবাজি হয়রানি কমান, পণ্যমূল্যও কমে যাবে।
আরকে// এআর
আরও পড়ুন