ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৮, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

ফের তাবলিগ জামাতের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে তাবলিগ জামাতের মারকাজ হিসেবে পরিচিত রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে এই ঘটনার পর মসজিদটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষকে বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করেছে পুলিশ। এদিকে উত্তেজনা নিরসনের জন্য কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্যদের নিয়ে জরুরির বৈঠকে বসেছেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, আজ শনিবার সকালে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও আলমি শুরা গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকালে মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারী তথা ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের আলমি শুরা অনুসারী তথা মাওলানা যুবায়ের আহমদ গ্রুপ-এর মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই গ্রুপকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

পরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।

গত বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমার সময় তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট আরও ঘনিভূত হয়। সা’দের বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষ অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। শনিবার সকালে ফের কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন হেফাজতপন্থীরা। এসময় সা’দপন্থীদের বিরুদ্ধে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। সা’দপন্থীর অনুসারি জাকারিয়া নামে একজনকে মারধর করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, কাকরাইল মসজিদ থেকে দু’গ্রুপকেই বের করে দেওয়া হয়েছে। মাওলানা সাদ বিরোধী ও সাদপন্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাদের উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মসজিদের পরিবেশ রক্ষায় তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি