ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

আজ মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:১০, ১ মে ২০১৮

আজ ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা মে দিবস নামে বেশি পরিচিত। উপযুক্ত মজুরি এবং দৈনিক ৮ ঘন্টা কর্মঘন্টার দাবিতে ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর শ্রমিকদের আন্দোলন এবং পুলিশের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সময়ের সাথে সাথে এই দিনটিই বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অথবা মে দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।     

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো স্টেটের শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল বহুদিনের। কম মজুরিতে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হতো শ্রমিকদের। একেকজন শ্রমিককে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টাও কাজ করতে হতো।  

এরই প্রতিবাদে স্থানীয় হে মার্কেটের শ্রমিকেরা ১৮৮৬ সালে ১ মে তারিখে বিক্ষোভ জানাতে সমবেত হয়। লাল পতাকা হাতে সেদিন হে মার্কেটের সামনে সমবেত হন প্রায় দুই লক্ষ শ্রমিক। তবে সামন্ত প্রভুদের উসকানিতে সেই প্রতিবাদে বাঁধা দেয় পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক সেইদিন নিহত হয়। 

ইতিহাসে ঘটনাটি ‘হে ম্যাসাকা’ নামে পরিচিত পায়। হে ম্যাসাকারের বিষয়টি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনের দাবানল সর্বত্র ছড়িয়ে পরে।  ১৯০৪ সালে নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারড্যামে সমাজতন্ত্র পন্থীদের এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া প্রস্তাব আকারে গৃহিত হয়। সেই সভাতেই বিশ্বব্যাপী সমাজতান্ত্রিক দলগুলো এবং ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে প্রতি বছরের ১ মে শ্রমিকদের আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল ও শোভাযাত্রা বের করার আহবান জানানো হয়। সেই সাথে শ্রমিকদের এদিন সব ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ন্যায্য মজুরি এবং আট ঘন্টা কর্মঘন্টার শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। 

এভাবেই ধীরে ধীরে এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের মুক্তি, ন্যায্য অধিকার আদায় এবং দাবি দাওয়া পূরণের হাতিয়ার হিসেবে পালন করা হচ্ছে।              

ভারতীয় উপমহাদেশে ১৯২৩ সালে দিবসটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়। একাত্তর পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশেও নিয়মিতভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।  

আজও যথাযথ ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসকে কেন্দ্র করে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠন, বামপন্থী এবং সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। এসব কর্মসূচির মধ্যে আলোচনা সভা, র‍্যালি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে।

দিবস উপলক্ষ্যে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশান এরশাদ।    

//এস এইচ এস/এসি    

  


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি