ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

বজ্রপাতের আগাম বার্তা মিলবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৩, ১ মে ২০১৮

বজ্রপাত এখন দেশের নতুন দুর্যোগ। এবিষয় সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। বজ্রপাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দেশের আটটি স্থানে সেন্সর স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে বজ্রপাতের আগাম বার্তা মিলবে।

আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে এপদ্ধতি সুফল বয়ে এনেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। তবে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যন্ত্রটি কতটা ভূমিকা রাখবে, তা এর কার্যকারিতা না দেখে বলা সম্ভব নয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বজ্রপাতের আগাম সংকেত জানতে এরই মধ্যে দেশের আটটি স্থানে বসানো হয়েছে লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর। স্থানগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, নওগাঁর বদলগাছি, ময়মনসিংহ,সিলেট, খুলনার কয়রা এবং পটুয়াখালী।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, আটটি সেন্সরে পুরো দেশের চিত্র উঠে আসবে। একেকটি সেন্সরের রেঞ্জ ২৫০ কিলোমিটার। প্রতিটি সেন্সর থেকে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মনিটরিং করা যাবে। এক মৌসুমে (এপ্রিল থেকে জুন) দেশে কতবার বিদ্যুৎ চমকায় এবং বজ্রপাত হয় সেটিও সংরক্ষণ করা হবে। তবে এখন সব চলছে পরীক্ষামূলকভাবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হবে।

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, রেডিও, টেলিভিশন, ওয়েবসাইটে এখনো তাঁরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেন। তবে সেটি রাডার থেকে নেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া হয়, যাতে বজ্রপাতের চিত্র সুস্পষ্টভাবে আসে না। এ ছাড়া এখন বজ্রপাতের তথ্য দেওয়া হয় জেলাওয়ারি। কিন্তু ডিটেকটিভ সেন্সরের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট এলাকার নামও বলা যাবে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন, আগে বজ্রপাতের প্রতি নজর ছিল কম। গুরুত্ব অনুধাবন করে এখন এর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয়, সংকেত পাওয়ার পরও যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা না ছাড়ে তাহলে কোনো উদ্যোগই কাজে আসবে না।

আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ‘বাংলাদেশে ১৩টি নদীবন্দরে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বজ্রপাতের সংকেত ও সংখ্যা নিরূপণের যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৬২ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আটটি ডিটেকটিভ সেন্সরের যন্ত্রপাতি কেনায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন পরীক্ষামূলকভাবে ডিটেকটিভ সেন্সর ব্যবহার করছি। কোথায় কোথায় ক্রটি বিচ্যুতি হচ্ছে সেটি দেখা হচ্ছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি চালু হবে। তখন বজ্রপাতের সংকেত আগাম দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া বজ্রপাতের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানোর তথ্যও থাকবে।

টিআর/টিকে


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি