ঢাকা, সোমবার   ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দিচ্ছে চীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৩, ৯ মে ২০১৮

চীনে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তৈরি পোশাকসহ ১৭টি রপ্তানি পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ এ সুবিধা পাবে। শিগগিরই দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি সইয়ের পরই কার্যকর হবে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুটি শর্তে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেবে চীন। একটি শর্ত হলো—যে পণ্য চীনে রপ্তানি করা হবে, তাতে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর দিহে হবে বাংলাদেশে। অন্য শর্তটি হলো—আঞ্চলিক কোনো চুক্তির আওতায় চীনের কাছ থেকে একই ধরণের অন্য সুবিধা নেওয়া যাবে না।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,‘শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়ার চীনা প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও আমাদের আগ্রহের বিষয়টি জানিয়েছি। এখন পত্রবিনিময়ের মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে।’

এদিকে চীনের কাছ থেকে সরাসরি শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পেলে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট বা (আপটার) আওতায় ৬০ শতাংশ পণ্যে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি হওয়া পণ্যে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন হতে হয়। নতুন করে চুক্তি হলে মূল্য সংযোজন ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ হতে পারে।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপক। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ যত আমদানি করেছে, তার শতকরা ২৫ ভাগের বেশি এসেছে চীন থেকে। গত অর্থবছরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে এক হাজার ১৯ কোটি ডলারের পণ্য। একই সময়ে চীনে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৯৫ কোটি ডলারের পণ্য। শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেলে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

আপটার আওতায় পাওয়া সুবিধা ছেড়ে সরাসরি চীনের কাছ থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা নিলে বাংলাদেশ লাভবান হবে কি না, সে বিষয়ে গত বছর জুলাইয়ে গবেষণা শুরু করেছিল ট্যারিফ কমিশন। ওই গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। তাতে কমিশন বলেছে, আপটার আওতায় চীনে পাওয়া সুবিধা ছেড়ে সরাসরি চীনের কাছ থেকে ট্যারিফ লাইনের ৯৭ শতাংশ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা নিলে তা বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে। চীন স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়া শুরু করে ২০১০ সালের ১ জুলাই।

এর আগে ২০১৬ সালের ১৬মে রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের কনফারেন্স রুমে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) আলোচনা সভায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চীনের কাছে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেন।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি