আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে কাদের
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি আস্থা রাখুন
প্রকাশিত : ০০:০৬, ১৫ মে ২০১৮ | আপডেট: ০৮:৩২, ১৫ মে ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার জন্য কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। তাই প্রজ্ঞাপন কবে হবে সেটা মেটার করে না।’
তিনি বলেন, কোটা ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, নারী ও জেলা কোটা রয়েছে। এ বিষয়গুলো ব্যালেন্স করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা নতুন করে বিষয়টিকে ঢেলে সাজাচ্ছেন।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এজন্য সময় নেওয়া হচ্ছে। তাই তাদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। তারা তাদের ধৈর্যের বাইরে চলে যাবে তা কোনভাবেই কাম্য নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তাদের যৌক্তিক আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাতে অপরাজনীতির অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং অশুভ রাজনীতির খেলায় মেতে না উঠতে পারে সে বিষয়েও তাদের সচেতন থাকতে হবে।
রাজধানীর লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করার অধিকার কারো নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, আন্দোলনকারীরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললেও আমরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতে পারি না। আর এতে সমস্যারও কোন সমাধান হবে না।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি কখনো নির্বাচনে হারতে চায় না। কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নির্বাচন হলো জয় পরাজয়ের জোয়ার ভাটা। কিন্তু বিএনপি সব সময় জোয়ার চায়। যা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কখনো সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কাদের আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করার দু’মিনিট আগেও কারচুপির অভিযোগের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে যাবে। তারা নির্বাচনে হারলে বলে কারচুপি হয়েছে, আর জয় লাভ করলে বলে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা আরো বেশি ভোট পেত। তাদের এ ধরনের মানসিকতা সম্পর্কে দেশের মানুষ জেনে গেছে।
নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারী নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারী ক্ষমতায়নের সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের এ দাবী আমরা সক্রিয় বিবেচনায় নিতে পারছিনা বলে তাদের জানিয়েছি। তবে ভবিষ্যতে বিষয়টি বাস্তবতার নিরীখে এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বিবেচনা করা হবে বলেও তাদের জানানো হয়েছে।
টিকে
আরও পড়ুন