ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরের কাঁচাগোল্লার রয়েছে আন্তজার্তিক খ্যাতি

প্রকাশিত : ১০:৩৫, ১৮ জুন ২০১৬ | আপডেট: ১০:৩৫, ১৮ জুন ২০১৬

ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নাটোরের কাঁচাগোল্লার রয়েছে আন্তজার্তিক খ্যাতি। এখন নানা ধরনের নতুন নতুন মিষ্টি বাজারে আসলেও স্বাদের জন্য আজও কমেনি কাঁচাগোল্লার কদর। ভোজন রসিক বাঙ্গালীরা এখনও দুর দুরান্ত থেকে নাটোরে আসেন কাঁচাগোল্লা কিনতে। কয়েকশ’ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন নাটোরের লালবাজার এলাকার জয়কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মধুসুদন পালের বংশধরসহ মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। দুধের ছানা ও চিনি দিয়ে তৈরী হয় কাঁচাগোল্লা। নাম কাঁচাগোল্লা হলেও আকারে এই মিষ্টি কিন্তু গোলাকার নয়। জনশ্র“তি রয়েছে-নাটোরের লালবাজার এলাকার জয়কালী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মধুসুদন পাল কয়েকশ বছর আগে রাজাদের মিষ্টি সরবরাহ করতেন। একদিন  কারিগররা না আসায় তার মাথায় এক অদ্ভুত বুদ্ধি আসে, দুধের ছানায় চিনি মিসিয়ে জ্বাল দেন তিনি। এই দুধ জমাট আকার পাওয়ার পর মুখে দিয়ে পান নতুন এক স্বাদ। সেই মিষ্টি পাঠিয়ে দেন রাজমহলে। পরবর্তীতে সেই মিষ্টিই কাঁচাগোল্লা নামে খ্যাতি পায়। অর্ধবঙ্গেশ্বরী রানী ভবানীর রাজত্বকাল থেকে নাটোরের কাঁচাগোল্লার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। ভোজন রসিক বাঙ্গালীরা এখনও দুর দুরান্ত থেকে নাটোরে আসেন কাঁচাগোল্লা খেতে আর কিনতে। এখান প্রতি কেজি কাচাগোল্লা বিক্রি হয় সাড়ে তিনশ টাকায়। এছাড়া এখানকার রসমালাই, ছানার জিলাপী, রসকদম, চমচম, অবাক সন্দেশের খ্যাতিও রয়েছে দেশজুড়ে। দাম বেশী হলেও বিয়ে, জন্মদিনসহ নানান সামাজিক উৎসবে নাটোরের কাঁচাগোল্লার মিষ্টিরই বেশী কদর ভোজন রসিক বাঙ্গালীদের কাছে ।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি