বিনিয়োগ খড়ার মধ্যেও বিদেশে বিনিয়োগের পক্ষে ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা
প্রকাশিত : ১২:০৮, ২২ জুন ২০১৬ | আপডেট: ১২:০৮, ২২ জুন ২০১৬
দেশে বিনিয়োগ খড়ার মধ্যেও দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের বিদেশে বিনিয়োগের পক্ষে ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা। তৈরী পোশাকসহ কিছু খাতে এ বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে মনে করেন তারা। তবে এজন্য সুষ্ঠ নীতিমালা প্রনয়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে জাতীয় উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত করার আশা সরকারের। কিন্তু এজন্য বেসরকারিখাতে প্রায় আশি হাজার কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন। দেশকে মধ্যম আয়ে নিয়ে যেতে, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২১ দশমিক ৭৮ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
কিন্তু দেশে জমির উচ্চমূল্য, অবকাঠামো সংকটের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদের কারণে এ বিনিয়োগ নিয়ে আছে শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ডিবিএল গ্র“প সম্প্রতি ইথিওপিয়াতে তৈরি পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে উৎপদিত পন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পউন্নত দেশেগুলোতে শুল্কমুক্ত কোটায় রপ্তানি করবে তারা। একশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পের ৭০ মিলিয়নই বিদেশী ব্যাংক থেকে স্বল্পসুদে ঋণ পেয়েছে তারা, সঙ্গে নামমাত্র মূল্যে ৬৮ হেক্টর জমি। দেশেই এমন বিনিয়োগের চাহিদা থাকলেও বিদেশে বিনিয়োগ, তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য নতুন মাইল ফলক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তৈরি পোশাক শিল্পের অনেক কিছুই এখনো আমদানি নির্ভর। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশে বিনিয়োগ অর্থনীতির জন্য লাভজনক বলেই মত ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদদের।
সিংক ( সালাম মুর্শেদী, সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ ও ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম,
ডিবিএল ছাড়াও এর আগে প্রাণ এবং নিটল-নিলয়কেও বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার বড় রিজার্ভ থাকায় এতে অর্থনীতির তেমন ঝুকি তৈরি করবেনা বলেও মনে করেন গবেষকরা। তবে এজন্য সুষ্ঠ নীতিমালা প্রনয়নের পক্ষে মত তাদের।
আরও পড়ুন