ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭, ১ জুন ২০১৮

কমলাপুর রেল স্টেশনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। শুক্রবার সকাল নাগাদ তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই স্টেশনের কোথাও। প্রতিটি লাইনের শুরু দেখা গেলেও শেষ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। স্টেশনের ২৬টি কাউন্টার থেকে ঈদের টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী।

সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও সার্ভারে ত্রুটির কারণে প্রায় ১০ মিনিট দেরিতে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

এদিকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যারা কাউন্টার খোলার পর পরই টিকিট হাতে পেয়েছেন তাদের সবার মুখে হাসি দেখা গেছে। কেউ কেউ উল্লাস করতে করতে স্টেশন ছাড়ছেন। অপরদিকে স্টেশনের মাইকে কালোবাজারি রোধে বিভিন্ন সতর্কতা বার্তা জানানো হচ্ছে।
টেনের অগ্রিম টিকিট পেতে মানুষের ভিড়

কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে আগামী ১০ জুনের রোববারের টিকিট। এরপর ক্রমান্বয়ে ২ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মিলবে ১১ জুন থেকে ১৫ জুনের ট্রেনের টিকিট। প্রতিদিন সকাল ৮টায় কাউন্টার খুলবে বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী।

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক জানান, ঈদ ফেরত যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে।

তিনি আরও জানান, এইসব স্টেশনে ১০ জুন পাওয়া যাবে ১৯ জুনের টিকিট। এরপর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ২০ জুন হতে ২৪ জুনের টিকিট মিলবে। সে অনুযায়ী আজ থেকে টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী আগেই জানিয়ে রেখেছেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করবে রেলের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল। এছাড়া রেলবিভাগ অতিরিক্ত ১৫ হাজার যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা করেছে। রেলওয়েতে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এবার আরও ১৫ হাজার বেশি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী জানান, কালোবাজারি রোধ ও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। আশা করি যাত্রীরা নির্বিঘ্নে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। আর যে কোনও কারোবাজারি চোখে পড়লে পুলিশে খবর দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নির্ধারিত সময়ের একটু পরে টিকিট বিক্রির বিষয়ে সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, এটাকে দেরি বলা যাবে না। কারণ সকাল ৮টায় একযোগে সব কাউন্টার থেকে সার্ভারে প্রবেশ করার কারণে একটু স্লো থাকে। পরক্ষণে ঠিক হয়ে যায়।

সকাল ৮টা ৩ মিনিটের দিকে দুটি লাইন এলোমেলো হয়ে যাওয়া নিয়ে টিকিট প্রত্যাশিদের মধ্যে কিছুটা হৈ চৈ দেখা দিলে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এদিকে গভীর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে ঢাকা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন। তিনি হেসে বলেন, অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন টিকিট হাতে পেয়েছি। খুব ভালো লাগছে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি