কোটা নিয়ে আদালতের রায় চাইলেই বদলানো যায় না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:২৭, ১৭ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৮:০৩, ১৭ জুলাই ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখতে উচ্চ আদালতের রায় আছে। সরকার চাইলেই তা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবে না। তবুও এ নিয়ে গঠিত কমিটি কাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্যোশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কোটা আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট করে ঘৃণ্য কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন।
কোটা রাখার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়ের পরও শিক্ষকসহ সমাজের জ্ঞানীগুনীরা কিভাবে কোটা আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন যেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ পদে না আসতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, যারা বিসিএস দেয় তারা কি মেধাবী নয়? তারা সবাই তো মেধাবী। আর মেধাবী ছাড়া কি কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিতে পারে? পরীক্ষা তো যথেষ্ট কঠিন। বিশেষ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে অনেক কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া তো কেউ এই পরীক্ষা দিতে পারে না। এই পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা অত্যন্ত মেধাবী হলে তারা পাশ করতে পারে এবং তারপরে তারা চাকরি পায়।
আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এরা (আন্দোলনকারী) এমন কী মেধাবী হয়ে গেল যে যারা পরীক্ষা দিচ্ছে, পাশ করছে তারা মেধাবী নয়? এ ধরনের কথা-বার্তা এরা বলে কীভাবে? এ নিয়ে হঠাৎ আন্দোলনে যাওয়ারই বা কী দরকার আছে? সেটা আমরা বুঝি না! আর আন্দোলন করলে আন্দোলন করবে, কিন্তু সেখানে ভাঙচুর করা, ভিসির বাড়ি আক্রমণ করা, সেখানে ভিসি পরিবার লুকিয়ে কোনোমতে জীবন বাঁচিয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমরাও আন্দোলন করেছি। দেখেছি খুব বেশি হলে ভিসির বাড়ির একটা ফুলের টব ভাঙা হতো। কিন্তু কখনো ছাত্র-ছাত্রীরা এটা চিন্তাও করতে পারেনি যে, তার বাড়ির মধ্যে ঢুকে গাড়িতে আগুন দেবে, ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত ঢুকে গিয়ে লুটপাট করা, চুরি করা এ ধরনের জঘন্য কাজ কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ভাবতেও লজ্জা লাগে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা আরও লজ্জার। কারণ আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এ সময় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোজাম্মেল হক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।
টিআর/ এআর
আরও পড়ুন