ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ পাবেন কৃষকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ২৫ জুলাই ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এক অংক সুদেই ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে। এটি গত ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  

অনুষ্ঠানে ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে শস্য খাতে।

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পাবে অন্তত ১০ শতাংশ। বাকি অর্থ যাবে কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন, ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ, টার্কি পালন ও অন্যান্য খাতে।’

গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

মনিরুজ্জামান এসময় বলেন, গত জুলাই থেকে ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ হওয়ার কথা। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রেও একই হার বিদ্যমান থাকবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বাংকগুলোর স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেট ঋণ ও অগ্রীমের ২ শতাংশ হারে হিসাবায়ন করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

কৃষি ও পল্লী ঋণের এ লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারিখাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।

এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭৮০ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করবে।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্যখাতে, ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণি সম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী।

এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি