ঢাকা, রবিবার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪

নতুন করে লিখতে হবে সুন্দরবনের ইতিহাস

প্রকাশিত : ১৯:৫৪, ১ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৩:১২, ২ আগস্ট ২০১৬

৩২২ খ্রিস্টপূর্ব প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান মিলেছে সুন্দরবনে। সম্প্রতি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এক জেলের কাছে পাওয়া নানা নির্দশন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রতœতত্ববিদরা। তারা জানান, সুন্দরবনের ভেতরে গড়ে ওঠা মৌর্যযুগের সমকালীন ওই সভ্যতা শুঙ্গ যুগ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। গুপ্তযুগের শুরুর দিকেও এর অস্তিত্ব ছিল। এরপর ঠিক কি কারনে এর বিলুপ্তি ঘটেছে তা এখনও রহস্যই রয়ে গেছে। নতুন করে লিখতে হবে সুন্দরবনের ইতিহাস। ম্যানগ্রোভ এ অরণ্যের জনবসতিতে এমনই কিছু পুরাতাত্ত্বিক নির্দেশনের সন্ধান পেয়েছেন প্রতœতত্ববিদরা, যা থেকে প্রমাণ মেলে মৌর্যযুগেও সুন্দরবনে মানুষের বসবাস ছিল। ৩২২ থেকে ১৮৫ খ্রীস্টপূর্বাব্দের এই সভ্যতা অন্তত ৬শ’ বছর পর্যন্ত টিকে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কারের পেছনে রয়েছেন সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের জেলে বিশ্বজিৎ সাহু। মাছ ধরার জন্য বনের বিভিন্ন অংশে ঘুরে ঘুরে টেরাকোটার খেলনা, প্রাচীন পুঁথির মালা, মানুষের মাথার খুলি, হাড়ের টুকরাসহ প্রায় ১৫ হাজার নিদর্শন সংগ্রহ করেন তিনি। আর এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বের হয়ে আসে নতুন তথ্য। লোককথা অনুযায়ী, সুন্দরবনের ইতিহাস ২০০ থেকে ৩০০ খ্রীস্টাব্দের। ১৭৫৭ সালে ইংরেজরা বাংলার ক্ষমতায় আসার পর ১৭৬৪ সালে প্রথম এর মানচিত্র তৈরি হয়। কিন্তু বর্তমান আবিস্কার প্রমাণ করে, খ্রীস্টাব্দ নয়, খ্রীস্টপূর্ব ৩২২ থেকেই সুন্দরবনে মানুষের বসবাস। তবে কী করে এই সভ্যতা আধুনিক যুগের শুরুতে এসে হারিয়ে গেল তা এখনও স্পষ্ট নয়। হারিয়ে যাওয়া এই সূত্র খুঁজে বের করাই এখন পুরাতত্ববিদদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি