মার্কিন কর্তৃপক্ষকে নজরদারির সুযোগ করে দিয়েছিল ইয়াহু
প্রকাশিত : ১৪:৩১, ৫ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৩১, ৫ অক্টোবর ২০১৬
নিজেদের ইমেইলে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে নজরদারির সুযোগ করে দিয়েছিল ইয়াহু । বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এজন্য গোপনে একটি সফটওয়্যারও তৈরি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে এবষিয়ে কোন মন্তব্য করেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ। আর ইয়াহু বলছে মার্কিন আইন মেনেই সবকিছু করেছে তারা।
অনলাইন সেবা দেয়া কোম্পানিগুলো যেখানে গ্রাহকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্র“তিবদ্ধ, সেখানে পরিকল্পিতভাবে ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আদান প্রদান হওয়া ইমেইল এবং অ্যাটাচ্ধসঢ়;মেন্ট সরকারের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গেল বছর গ্রাহকদের ইমেইলে আসা সকল তথ্যে সরকারের নজরদারি নিশ্চিত করতে বিশেষ ধরনের একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছিল ইয়াহু। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এফবিআই এবং এনএসএ’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে একাজ করেছে তারা। ইয়াহুর সাবেক তিন কর্মকর্তার বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে রয়টার্স। তবে ঠিক কি পরিমান ডাটা সরকারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাত্র কয়েকদিন আগে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সার্ভার থেকে প্রায় ৫০ লাখেরও বেশী গ্রাহকের তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। তবে নজরদারির বিষয়টি স্বীকার করে ইয়াহু জানায়, মার্কিন সরকারের আইন মেনেই কাজ করেছে তারা।
এদিকে বিষয়টিকে অগ্রহনযোগ্য দাবি করে গ্রাহকদের ইয়াহু মেইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। আর গ্রাহকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকার কথা জানিয়েছে মাইক্রোসফট, গুগল এবং ফেইসবুক।
আরও পড়ুন