১৪ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন চীনের রাষ্ট্রপতি
প্রকাশিত : ১০:৪৫, ১৩ অক্টোবর ২০১৬ | আপডেট: ১০:৪৫, ১৩ অক্টোবর ২০১৬
১৪ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। দুদিনের সফরে শেষে ১৫ অক্টোবর তিনি ব্রিকস সামিটে অংশ নিতে রওনা দেবেন ভারতের পথে। সংক্ষিপ্ত এই সফরে বাংলাদেশের সাথে ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের মোট ২৫ টি উন্নয়ন প্রকল্প স্বাক্ষর হবার কথা রয়েছে। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে এই সফর দুদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
২০১৪ সালে চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সফরে ঘোষিত যৌথবিবৃতিতে বলা হয় দু’দেশ ক্লোজার কমপ্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ কো-অপারেশন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। সে সময় চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। চীনা রাষ্ট্র শি জিনপিং প্রধানও সাড়া দিয়েছেন সেই ডাকে।
আসছে সফরে প্রায় ২ হাজার ১০ কোটি ডলার অর্থায়নের মোট ২৫ টি প্রকল্প চুক্তি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন, রাজশাহী ওয়াসার সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সিস্টেম লস রিডাকশন রিপ্লেসিং, ইলেক্ট্র মেকানিক্যাল এনার্জি মিটার উইথ ইলেক্ট্রনিক এনার্জি মিটার, এক্সেপেশন এন্ড এস্ট্রেন্দিনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া প্রজেক্ট, পদ্মা ব্রিজে রেইল লিংক ফেইজ ওয়ান ও ট্যু, পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক এস্ট্রেন্দিনিং প্রজেক্ট আন্ডার পিজিসিবি, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মডার্ন নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেকটিভিটির কথা উঠে এসেছে। বাণিজ্যিক চুক্তিগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা একটি/দুইটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ করেছে বাংলাদেশ। চীনের চাওয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন নিয়েও এই সফরে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল ও এর কাছাকাছি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে। প্রকল্পগুলো নিয়ে কর্মব্যস্ত দুদিনের সফরে শেষে ১৫ অক্টোবর চীনা রাষ্টপতি ব্রিকস সামিটে অংশ নিতে রওনা দেবেন ভারতের পথে।
আরও পড়ুন