নিরাপদে সংযোগ স্থাপন করলো দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল
প্রকাশিত : ১৩:২৪, ৭ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:২৪, ৭ নভেম্বর ২০১৬
২৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে নিরাপদে কুয়াকাটায় সংযোগ স্থাপন করলো দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল। বীচ ম্যানহোলে সংযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে দেড় হাজার জিবিপিএস ডাটা সরবারহ নিশ্চিত করলো কুয়াকাটায় অবস্থিত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। ফলে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন মাইটভাঙ্গা গ্রামে ২০১৩ সালে ১০ একর জমির উপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়কে যুক্ত হতে ২০১৪ সালে মার্চ মাসে মালয়শিয়া কেন্দ্রিক ঝঊঅ-গঊ-ডঊ কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভারত হয়ে ইউরোপের ফ্রান্স পর্যন্ত বিস্তৃত হবে সংযোগ লাইন।
প্রথম সাবমেরিন কেবলের চেয়ে প্রায় আট গুণ ক্ষমতাসম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটি চালু হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ব্যান্ডউইডথ বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পাশাপাশি সারাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা ও শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি চালু হলে লাভবান হবে বাংলাদেশ। কমে যাবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের লাইফ টাইম শেষ হলেও সচল রাখা যাবে টেলিযোগাযোগ।
এই ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে আগামী মার্চে দেড় হাজার জিবিপিএস যোগ হলে সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে আর সমস্যা থাকবে না বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব।
দ্বিতীয় সাব মেরিন কেবল সংযোগের মধ্য দিয়ে তথ্য প্রযুক্তির বিশ্বে আরো একধাপ এগিয়ে গেলো দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এ সংযোগ আরো বেগবান করবে, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
আরও পড়ুন