সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন
প্রকাশিত : ১০:২৩, ৮ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১০:২৩, ৮ নভেম্বর ২০১৬
সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। মূলত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের কারণ দেখিয়ে ভারত, ভুটান, আফগানিস্তান সার্কের ১৯তম সম্মেলনে অংশ না নেয়ার কথা সাফ জানিয়ে দেয়। আর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোয় একই অবস্থানে থাকে বাংলাদেশও। এর পরপরই বাতিল হয়ে যায় সার্ক সম্মেলন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্ককে বাঁচাতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ।
১৯৮৫ সালে সার্ক গঠিত হয়েছিল আঞ্চলিক শান্তি, সৌহার্দ্য আর স্থিতিশীলতা বাড়াতেই। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকারও ছিলো সংগঠনটির।
গেল নভেম্বরে সার্কের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সম্মেলনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও আফগানিস্তান। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস ও বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার কারণ দেখায় ভারত। সবশেষ সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান নেপাল ইসলামাবাদে নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনটি স্থগিত ঘোষণা করে। এসব কারণেই সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এদিকে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরেকটি আঞ্চলিক সহযোগি সংগঠন বিমসটেক তার সফল সম্মেলন শেষ করলো অক্টোবরে। সেই সম্মেলন শেষে সার্ক নিয়ে বাংলাদেশের এখনকার অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ।
তবে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. বিনয় প্রভাকর একুশে টেলিভিশনকে বললেন, সার্ককে উজ্জীবিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রনেতাদেরই।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা আবারও সমাধান খুঁজে নিয়ে নতুন করে সার্ককে শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুন