নাসিরনগরে হামলায় জড়িতদের সনাক্তের পরিবর্তে গুরুত্ব পাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর আস্থাভাজনদের কি করে ফাঁসানো যায়
প্রকাশিত : ১২:২৭, ১২ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:২৭, ১২ নভেম্বর ২০১৬
নাসিরনগরে ঘর-বাড়ি-মন্দিরে হামলায় কারা জড়িত? তাদের সনাক্তের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের একাংশের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর আস্থাভাজনদের কি করে ফাঁসানো যায়, সেই চেষ্টা। মন্ত্রীর দাবি, জেলা কমিটি যাদের বহিস্কার করেছে তারা নির্দোষ। ওই তিনজন হামলাকারিদের ঠেকাতে চেষ্টা করেছেন বলেও জানান তিনি।
ফেইসবুকে বিতর্কিত পোস্টের কারণে রসরাজ দাসকে আটকের পর উত্তেজনা থামলেও পরেরদিন হরিপুরের ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে ১১টি ট্রাকে চড়ে আসে হামলাকারীরা। মন্ত্রীর একনিষ্ঠ সমর্থক দল থেকে বহিস্কৃত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির এলাকা তারা পার হলো কিভাবে? ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সামনে দিয়ে হামলাকারিরা হরিনবেড়ে এলো কি করে?- এমন প্রশ্ন অনেকের।
অবশ্য হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দায় নিতে রাজী নন। একই রকম বক্তব্য জেলা আওয়ামী লীগ নেতার।
অন্যদিকে মন্ত্রীর ঘনিষ্ট হিসেবে কয়েক জনের শরীরে এখনো হামলা ঠেকানোর চিহ্ন। তবে মন্ত্রী স্বীকার করেছেন দল থেকে বহি®কৃত ফারুকের বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। কিন্তু এরজন্যে ফারুককে দুষতে রাজি নন তিনি।
আক্রান্তদের অনেকে প্রথমদিকে হামলাকারীদের নাম বললেও, এখন দুই গ্রুপের সমর্থকদের ভূমিকারই প্রশংসা করছেন।
হামলা করা হয় উপজেলা সদরের দত্তবাড়িতেও। ষাটের দশকে এখান থেকেই ছায়েদুল হক তখনকার থানা আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন করেছিলেন।
আরও পড়ুন