চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে পদে পদে হয়রানি
প্রকাশিত : ০৯:৪০, ১৪ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৪০, ১৪ নভেম্বর ২০১৬
দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকন্দ্রে চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে পদে পদে চলছে হয়রানি। সপ্তাহের অধিকাংশ সময় নষ্ট থাকে অটোমেশন প্রক্রিয়া। নেই ব্যাংকের পর্যাপ্ত বুথ। ফলে আমদানীকরা পণ্যের শুল্কায়ন নিয়ে প্রতিনয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের।
আমদানী-রফতানী পণ্যের শুল্কায়নে এক সময় ৪৩টি ধাপে দৌড় ঝাপ করতে হতো ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের। দুর্ভোগ কমাতে ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশন প্রক্রিয়া শুরু করে চট্টগ্রাম চেম্বার। অনলাইনে বিল অফ এন্ট্রি এবং ইমপোর্ট-এক্সপোট মেনিফেষ্ট দাখিলের জন্যে চালু করা হয় অত্যাধুনি পদ্ধতি। কিন্তু এর পরও কমেনি ভোগন্তি। বরং বেড়েছে বিড়ম্বনা। সপ্তাহের অধিকাংশ সময় বিকল থাকে এই অটোমেশন প্রক্রিয়া।
কাস্টমস হাউসের অভ্যন্তরে শুল্কায়নের টাকা জমা নেয়া হয় একটি মাত্র ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু, পর্যাপ্ত বুথ না থাকায় প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের।
অটোমেশন প্রক্রিয়ায় ত্র“টির কারনে বিপাকে বন্দর কর্মকর্তারাও। যথাসময়ে কাস্টমস হাউস থেকে রফতানী পণ্যের তথ্য সরবরাহ করতে না পারায় শিপমেন্টের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় বলে জানান তারা।
অটোমেশন প্রক্রিয়ার ত্র“টির কারণে দেশের আমদানী-রফতানী বাণিজ্য স্থবির করে দিচ্ছে বলে অভিমত দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। হয়রানি বন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা রাখার দাবীও জানান তারা।
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা আমদানী-রফতানীর সাথে সংশ্লিস্টদের।
আরও পড়ুন