ভালুকার রাজিব সোমের রেপটাইলস কুমিরফার্ম কুমির রপ্তানী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে
প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৪৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৬
কুমির রপ্তানী করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভালুকার রাজিব সোমের রেপটাইলস কুমিরফার্ম। ২০০৪ সালে মালয়েশিয়া থেকে মা কুমির আমদানী করে হাতিবেড় গ্রামে প্রথম শুরু হয় কুমির চাষ। বাংলাদেশ এশিয়ায় তৃতীয় কুমির রপ্তানীকারক দেশ হিসেবে স্থান পাওয়ার নেপথ্য কারিগরও রাজিব হোম ও তার প্রতিষ্ঠান।
ভালুকার হাতিবেড় গ্রাম এখন কুমির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। প্রায় এক যুগ আগে ৭৫টি মা কুমির দিয়ে চাষ শুরু হলেও আজ সেখানে কুমিরের সংখ্যা ২ হাজার।
উদ্যোক্তা রাজীব সোম তার রেপটাইলস কুমিরফার্মে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো চাষ শুরু করেন। ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে সাড়ে ১৩ একর জমির উপর তিনি কুমীর ফার্ম গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠার ৬বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে জার্মানিতে কুমির রপ্তানী করে। এরপর জাপান ও জার্মানিতে ১ হাজারেরও বেশী কুমির রপ্তানী করে দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় কুমির রপ্তানী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এখান থেকে বছরে ২হাজার কুমিরের চামড়া ও মাংস রপ্তানী করা সম্ভব বলে জানান প্রকল্প পরিচারক।
ডা. মোহাম্মদ আবু সাইম আরিফ, প্রকল্প পরিচারক রেপটাইলস র্ফাম লি: ভালুকাÑময়মনসিংহ।
উদ্যোক্তা রাজীব সোম জানান বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের কুমিরের যে চাহিদা তা একটি মাত্র প্রকল্প থেকে সরবরাহ করা সম্ভব নয়। নতুন প্রকল্প স্থাপন হলে বাংলাদেশে কুমির রপ্তানীর একটি নতুন বাজার সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ তার।
তবে আমদানী-রপ্তানীর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলোর দীর্ঘসুত্রিতা নীতি সহজ করলে কুমীর চাষ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন