গাড়িকে এ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছে কিছু মাইক্রোবাস মালিক
প্রকাশিত : ১২:৪৪, ২০ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:০১, ২০ নভেম্বর ২০১৬
গাড়ির রুট পারমিটের মেয়াদ শেষ, কাগজপত্র ঠিক নেই; সেসব গাড়িকেই এ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছে কিছু মাইক্রোবাস মালিক। অথচ নেই অ´িজেনসহ রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা। আর এসব সম্ভব হচ্ছে কোন নীতিমালা না থাকার কারণে। প্রতিকারে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বিআরটিএ থেকেও নেই কার্যকর পদক্ষেপ। জ
আবুল কালাম সোহরাওয়ার্দি হাসাপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আনা নেয়া করেন। কিভাবে অন্য কাজে ব্যবহার করা গাড়িটি এ্যাম্বুলেন্স হয়ে গেল অকপটে জানালেন সে কথা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু কিংবা সোহরাওয়ার্দিসহ ঢাকার যেসব হাসপাতালে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আনা নেয়া করা হয় তার বেশীর ভাগই মান সম্মত নয়। চালকদেরও নেই বৈধ লাইসেন্স। মুমুর্ষ রোগীর জন্য এসব এ্যাম্বুলেন্স মোটেও নিরাপদ নয়। নজরদারী না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স সেবার নামে চলছে সাধারন মানুষের সঙ্গে প্রতারনা।
অথচ কিছু সাধারণ শর্ত মেনে স্বয়ং সম্পূর্ন একটি এ্যাম্বুলেন্সে রোগীর জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকতে হয়। এর মধ্যে (গ্রফি´)
১. অ´িজেন সিলিন্ডার ও মাস্ক
২. স্ট্রেচার
৩. জরুরী চিকিৎসা সরাঞ্জম
৪. রোগীর শয্যা ও চিকিৎসক বসার ব্যবস্থা।
৫. লাইফ সার্পোটের ব্যবস্থা
৬. কার্ডিয়াক মনিটর
যার কোন কিছুই নেই বেশীর ভাগ এ্যাম্বুলেন্সে। চিকিৎসকারা জানালেন, এ্যাম্বুলেন্সে এসব সুযোগ সুবিধা না থাকলে তা হয়ে উঠতে পারে মরন ফাঁদ।
এসব এ্যাম্বুলেন্সের ওপর বিআরটিএর দৃশ্যমান কোন নজরদারি না থাকায় এ্যাম্বুলেন্স সেবা এখন বাণিজ্যে পরিনত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিজেদের সীমাবদ্ধের কথা জানালেন বিআরটিএর এই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
এ্যাম্বুলেন্স সেবায় মান নিয়ে খুব একটা খুশি হতে না পারলে ও অনেকটা নিরুপায় হয়েই এই সেবা নিতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের।
আরও পড়ুন