সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
প্রকাশিত : ১৪:৩১, ২১ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৩১, ২১ নভেম্বর ২০১৬
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারে এমএজি ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর চূডান্তভাবে সম্মিলিত আক্রমণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সেদিন স্থল, নৌ ও আকাশপথে কর্নেল ওসমানীর নেতৃত্বে চালানো হয় ত্রিমুখী আক্রমণ; উন্মুক্ত হয় চূড়ান্ত বিজয়ের পথ। সেই থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে সশ্রস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে।
২৫ মার্চের ভয়াল সেই কাল রাতে, নির্মমভাবে পাকিস্তানি হায়নারা আক্রমন করে বাংলার নিরস্ত্র মানবতাকে। কিন্তু দিশেহারা হয়নি বাঙালী জাতিসত্ত্বা, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে, যার কাছে যা আছে তা নিয়েই।
শুরু হয় মুক্তির যুদ্ধ। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম প্রধানের দায়িত্ব পান এম. এ. জি. ওসমানী। বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনী অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রাক্তন ইপিআর, আনসার, পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে গঠিত হয় গেরিলাবাহিনী। এছাড়া একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী ও ছোট্ট একটি বিমানবাহিনীও গঠন করেছিলেন ওসমানী।
২১ নভেম্বর চূডান্তভাবে সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হলো একাধারে স্থল, নৌ ও আকাশপথে। বিজয়ের পথে শেষ হাসিটা ছিল মুক্তিকামী বাঙালীরই। পাকিস্তানী বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে যুদ্ধকালীন সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরকি বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
সেই থেকে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশের স্বশস্ত্র বাহিনী তার আপন গরিমায়, প্রতিনিয়ত কুড়িয়ে চলেছে গণ-মানুষের আস্থা। অতন্দ্র প্রহরীর মতো আগলে রাখছে দেশ-মাতৃকাকে।
আরও পড়ুন