জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসদমনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২১ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৪৮, ২১ নভেম্বর ২০১৬
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দিতে সরকারের পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আর কেউ ইতিহাস বিকৃতির সাহস পাবেনা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সামরিক বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ।
এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শহীদদের স্মৃতি স্মরণ করে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এসময় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
পরিদর্শন বাইয়েও স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের উদ্যেগে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বিশেষ পরিচয়পত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। যা দেখিয়ে বিনা ভাড়ায় আন্তর্জাতিক রুটে বিমান, পবিত্র হজ্ব-ওমরা পালন, চিকিৎসা, বিমান, রেল ও ফেরিতে ভিআইপি কেবিন ও লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন।
বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সেনবাহিনীর একজন ও বিমান বাহিনী দুইজন সদসকে বাহিনী পদক দেয়া হয়। এচাড়া অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত দুই সদস্যকে প্রধানমন্ত্রীর পদকে ভূষিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের মর্যাদা দিতে সরকারের গৃহিত নানা পদক্ষেপের উল্লেখ করেন।
দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে প্রবল প্রতিরোধ।
আরও পড়ুন