ভারতের পর ভুটানেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ০৮:৫৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ০৮:৫৫, ২৩ নভেম্বর ২০১৬
ভারতের পর এবার ভুটানেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। ভুটান সরকারের অনুরোধে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই রপ্তানি হবে ১০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ। রপ্তানির জন্য সম্ভাব্য রুট ও রেট নিয়ে দরকষাকষি চলছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি লিমিটেড। এদিকে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, দেশের চাহিদা মিটিয়েই রপ্তানি করা হচ্ছে এই ব্যান্ডউইথ।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো ভারতে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি শুরু করে বাংলাদেশ । এক্ষেত্রে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার। ৬ মাস পর মোট ৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিতে আগ্রহী ভারত। তখন এ’খাত থেকে বছরে বাংলাদেশের আয় হবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভুটানেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ’জন্য তিনটি আলাদা রুট নিয়ে চলছে আলোচনা। ভৌগলিক কারণে প্রতিটি রুটই যাবে ভারতের উপর দিয়ে।
প্রথম রুট হিসেবে ঢাকা ও সিলেট দিয়ে ব্যান্ডউইথ যাবে তামাবিল, শিলং, গোহাটি ও আসামের রাঙিয়া হয়ে ভুটানের সামদ্রুপজং-এ।
দ্বিতীয় রুট হিসেবে ঢাকা-রংপুর দিয়ে ভুড়–ঙ্গামারী ও বীরপারা হয়ে ভুটানের ফুলশিলং এ পৌঁছাবে ব্যান্ডউইথ।
ঢাকা থেকে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জলপাইগুড়ি ও বীরপাড়া হয়ে ভুটানের ফুলশিলং এ ব্যান্ডউইথ পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড বলছে, ব্যান্ডউইথ রপ্তানিতে এখন রেট নিয়েও তিন দেশের মধ্যে দরকষাকষি চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনটি রুটের জন্য ভুটানকে রেট দেয়া হয়েছে ১৪ থেকে ১৮ ডলার।
বিএসসিসিএল বলছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ভুটানে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা যাবে। তবে, তা নির্ভর করছে ভারত কত দ্রুত তাদের অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে তার উপর।
বাংলাদেশের চাহিদা মিটিয়ে এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানি হচ্ছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
ভারত ও ভুটানের পর মিয়ানমারেও ব্যান্ডউইথ রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন