তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে এখনও অসহায় অনেক পরিবার
প্রকাশিত : ১২:১৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১২:১৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৬
আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। আবার দগ্ধ শরীরের ক্ষত নিয়ে অনেকেই জীবিকার প্রয়োজনে অসুস্থতা নিয়েই কাজ করছেন।
এখনও কান্না থামেনি তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকান্ডে হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও অনেকেই হারিয়েছেন চোখ, হাত বা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
অগ্নিকাণ্ডের সময় চার তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে যান রেহেনা আক্তার। ডান পা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা পান তিনি। চার বছর পরও সরকার বা বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা পাননি। জমি বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ যুগিয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ না হওয়ায় অভাবে কাটছে দিন।
শুধু রেহানাই নন; অনেকেরই দিন কাটছে চরম কষ্টে। আর যারা, যেটুকু ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে গেছে চিকিৎসার খরচ চালাতে।
এদিকে হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের কর্মসংস্থান ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির সাধারণ সম্পাদক।
তাজরীনের আগুনের ঘটনায় রংপুরের লতিফপুর গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনসহ মিঠাপুকুর উপজেলার ৪৪ জন মারা গিয়েছিল। চোখের পানিতে এখনও প্রিয়জনদের স্মরণ করেন স্বজনরা।
পরিবারের ৪ সদস্যকে হারিয়ে লতিফপুরের আহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী এখন মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। আহাম্মদ হোসেনের মতো অনেকেরই অভিযোগ, তারা কোনো আর্থিক সহায়তা পাননি।
হতাহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও তাদের স্বজনদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
আরও পড়ুন