ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

লাইসেন্স বাতিল হলেও মানুষ ঠকিয়ে যাচ্ছে এমএলমএম কোম্পানি

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ২৬ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৬:৫৮, ২৬ নভেম্বর ২০১৬

দুর্নীতি, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে লাইসেন্স বাতিল হলেও এখনো অনেক এমএলমএম কোম্পানি মানুষ ঠকিয়ে যাচ্ছে। গাজীপুরের লাইফওয়ে, গোল্ডেন স্টার, রিচ বিজনেস, এমটাচ ডট বিডি, ফিউচার বিডিসহ বেশ কয়েকটি এম এল এম কোম্পানির কবলে পড়ে সর্বসান্ত হচ্ছেন অনেকে। বাংলাদেশ বাংকের সাবেক গভর্নর ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমদ বলছেন, এসব এমএলএম কোম্পানীগুলোর উদ্দেশ্য- সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত। মাল্টিলেভেল মাকেটিং এমএলএম বা বহুস্তর বিশিষ্ট বিপনন ব্যবস্থা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এ ব্যবসায় প্রতারণার খুব বেশী উদাহরণ না থাকলেও বাংলাদেশে ঘটেছে হরহামেশা। ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে চালু হওয়া এম এল এম ব্যবসার খুব একটা সুখকর চিত্র দেখা যায়নি। চটকদার বিজ্ঞাপন, অল্পপুজিতে লাখপতি- এরকম লোভ দেখিয়ে গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে টানছে এমএলএম কোম্পানিগুলো। শহরাঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষও বাদ যাচ্ছে না। সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেলো, এমএলএম কোম্পানীগুলো প্রথমেই শুরু করে মগজ ধোলাইয়ের কাজ। যে যত টাকা দিতে পারবে সে ততো ওপরের কর্মকার্তা এবং তার বেতনও নির্ধারণ করা হয় টাকা অনুযায়ী। গাজীপুরের লাইফওয়ে প্রাইভেট লিমিটেড। পতিদিন হাজার হাজার মানুষের সাথে প্রতারণা করে কামিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গ্রাহকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার নিয়ে নাম মাত্র একটি পন্য দিয়ে বিদায় করা হয় তাদের। অনুমোদনহীন এসব কোম্পানী কমিশনের লোভ দেখিয়ে নতুন গ্রহক তৈরী, পণ্য বিক্রি ও অর্থ লেনদেন অব্যহত রাখায় তাদের ফাঁদে পড়ে সব খুইয়ে নিশ্ব হচ্ছে মানুষ। এম এল এম ব্যবসার কোন অনুমোদন নেই। যারা এটি করছে তারা সাধারণ মানুষের সাথে স্রেফ প্রতরনা করছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমদ। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। প্রশাসনের যথাযথ নজরদারির মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধের দাবী জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ডেসটিনি, যুবক, ইউনিপেটুইউ এর মত বহু গ্রাহক সর্বশান্ত হবে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি