আজ শহীদ ডাক্তার মিলন দিবস
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ২৭ নভেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১১:৪৯, ২৭ নভেম্বর ২০১৬
আজ শহীদ ডাক্তার মিলন দিবস। ১৯৯০ সালের এদিন ডাক্তার শামুসুল আলম খান মিলন হত্যার পরপরই সারাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গনঅভ্যত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় পতন ঘটে এরশাদ সরকারের । তবে ডাক্তার মিলনের মায়ের আক্ষেপ, যে সমতাভিত্তিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য তার ছেলে শহীদ হয়েছিলেন তা এখনো অপূর্ণ রয়ে গেছে।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় জেনারেল এরশাদ। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাজপথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন আর গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষ। শহীদ হন নূর হোসেনের মত আরো অনেকে। ১৯৯০ সালে বেগবান হয়ে ওঠে গণ আন্দোলন।
১৯৯০ এর ২৭ নভেম্বর। টিএসসির সড়ক দ্বীপের কাছে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমাবেশ। তাতে একাত্মতা জানাতে এসেছিলেন চিকিৎকদের সংগঠন বিএমএর নেতারাও। হঠাৎ সোহরাওয়ার্দির উদ্যানের ভেতর থেকে শুরু হয় গুলি। রিকশায় ছিলেন বিএমএ-এর তখনকার সাধারণ সম্পদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম মিলন।
গুলিবিদ্ধ ডা. মিলনকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত্যুর কথা না বলে আহত হওয়ার খবর দেয়া হয় মিলনের মাকে ।
ডাকসুর সেই সময়কার জিএস মোস্তাক হোসেন বলেন, ডা. মিলনকে হত্যা করে আন্দোলন স্তব্ধ করার ফল হয় উল্টো, সারাদেশ হয়ে উঠে অগ্নিগর্ভ।
মিলনের মা-য়ের আক্ষেপ, যে আদর্শের জন্য তার ছেলের জীবন গেল তা আজো অপূর্ণ ।
শহীদ ডাক্তার মিলনের স্মৃতি রক্ষা এখনো তেমনভাবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি- এই আক্ষেপ সহযোদ্ধা ও স্বজনদের।
আরও পড়ুন