ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এদেশের নারী শ্রমিকরা আজও অবহেলিত

প্রকাশিত : ১৭:১৫, ৮ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৭:১৬, ৮ মার্চ ২০১৬

সমতার অঙ্গীকারে বিশ্বে পালিত হচ্ছে নারী দিবস। কিন্তু এখনও বৈষম্যের শিকার এদেশের কর্মজীবী নারীরা। সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্পের প্রসারে অগ্রণী ভুমিকা নারীর। তবু পুরুষের তুলনায় ৩ ভাগের ১ ভাগ ক্ষেত্রবিশেষে এর থেকেও কম মজুরী পান নারী শ্রমিকরা। কুড়িগ্রামেও নারী শ্রমিক শিকার হচ্ছেন মজুরি বৈষ্যম্যের। তাই নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হলেও আজও অবহেলিত রয়ে গেছেন এদেশের নারী শ্রমিক। nari mujuriসিরাজগঞ্জের গোপিনাথপুর গ্রামের আপুচি বালা। স্বামীর মৃত্যুর পর এক সন্তান নিয়ে সংসারের হাল ধরেন তিনি। পেশা হিসেবে বেছে নেন তাঁতে কাপড় বুননের কাজ। কিন্তু ভোর থেকে গভীর রাত অবধী চড়কা মজুরী মেলে মাত্র ৫০ টাকা। আপুচি বালার মতো একই অবস্থা সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহাজাদপুর ও সদর উপজেলার অন্তত ২০ হাজার তাঁত শ্রমিকের। এদিকে তাঁত শিল্পে নারীর মজুরী বৈষম্য রোধে সরকারী নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার কথা জানালেন এই নারী নেত্রী। কুড়িগ্রামে কৃষিকাজসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজে পুরুষের পাশাপাশি নিয়োজিত জেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক নারী শ্রমিক। একই কাজ করে এখনও পুরুষের অর্ধেক মজুরি পান নারীরা। নারীর শ্রম মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি মানসিকতার পরিবর্তনের প্রয়োজন, মত নারী সংগঠনগুলোর। নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করে নারী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকার প্রত্যাশা খেটে খাওয়া এসব নারীদের।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি