ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সবজির দাম ৪-৫গুন বেশি চাঁদাবাজি আর হয়রানির কারনে

প্রকাশিত : ০৯:১৮, ১১ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৪২, ১১ মার্চ ২০১৬

পথে পথে চাঁদাবাজি আর হয়রানির কারনে গ্রামের সবজি রাজধানীতে চার-পাঁচ গুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। চাঁদাবাজি করছে পুলিশ। শ্রমিক কল্যানের নামে  টাকা হাতরে নিচ্ছে একটি চক্র। এতে কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির দামের হেরফের হয়ে ওঠে আকাশ-পাতাল। চড়া দামের খেসারত শেষ পর্যন্ত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। কৃষকের ঘামঝড়ানো শ্রমে ফলছে শাক-সবজি। মাঠ থেকে ফসল তুলে আনছেন বগুড়ার মহাস্থনগড়ের পাইকারি বাজারে। এখানে যে দরে সবজি বিক্রি হয়, ভোক্তা পর্যায়ে তা বেড়ে যায় ৫ গুনেরও বেশি। বগুড়ার কৃষকরা প্রতি কেজি  আলু বিক্রি করেন ৫ টাকায়। সেই আলু স্থানীয় ফড়িয়ারা কিনে একই বাজারে বিক্রি করেন ৬ টাকায়। ফড়িয়াদেরও চাঁদা দিতে হয় দালালকে । বগুড়ার আলু  চট্টগ্রামের পাইকাররা কেনেন ৯ টাকারও বেশি দরে, দালালী বাবদ তাদেরও দিতে হয় কেজি প্রতি ৪০ পয়সা। এভাবে কয়েক হাত বদলে খুচরাবাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ১৫ টাকারও বেশি। নরসিংদীর কৃষকরা কেজি প্রতি বেগুনের দাম ৮টাকা পেলেও রাজধানীর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এক কেজি লাল শাক কৃষক বিক্রী করছেন ৫টাকা। ঢাকার বাজারে এক আটির দাম ১০টাকা। পাইকাররা বলে থাকেন, পথে পথে চাঁদাবাজির কারনেই দামের এই তারতম্য। এতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশপাশের খুচরাবাজারগুলোতেও দাম বাড়ে সবজির। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযোগ পেলে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রমিক কল্যানের নামেও পথে পথে চলে চাঁদাবাজি। এনিয়ে শিগগিরিই নজরদারি বাড়ানোর দাবী কৃষক ও ভোক্তাদের।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি