পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু, দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রথম গণতান্ত্রিক সংসদ পেল মিয়ানমার
প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৯:৪৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
মিয়ানমারে শুরু হলো বহুল আলোচিত নতুন পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছর পর এই প্রথম গণতান্ত্রিক সংসদ পেল মিয়ানমারবাসী। আর সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ হলো অং সান সুচির দল এনএলডি’র। এই পার্লামেন্ট থেকেই ঘোষিত হবে নতুন প্রেসিডেন্টের নাম। সুচির দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ১৬৬টি আসন সংরক্ষিত থাকায় সেনাবাহিনীর প্রভাব থাকছেই।
দীর্ঘ ৫০ বছর পর গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট। একে একে আসছেন বিজয়ী দলের এমপিরা। সেনাবাহিনীর গাঢ় সবুজ রঙকে ছাপিয়ে এদিন সংসদে ছিল কমলা রঙের পোশাকধারী এনএলডির সদস্যদের আধিক্য।
এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন গণতন্ত্রের জন্য কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করা অং সান সু চি। হাসিমুখে সংসদে যোগ দেন তিনিও। এরই মধ্য দিয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটে গণতন্ত্রকামী মিয়ানমারবাসীর।
খিন মং মিন্ত, আইনপ্রণেতা, এনএলডি - মিয়ানমারবাসী গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। শুধু দেশে নয় আমাদের বিজয় পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টি এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে।
নতুন এই পার্লামেন্ট থেকে নির্বাচিত হবেন চেয়ারম্যান এবং উচ্চ ও নিম্ন কক্ষের স্পিকার। এরপরই ঘোষিত হবে প্রেসিডেন্টের নাম। তবে এর জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ পেরুতে হবে।
১৫ বছর গৃহবন্দী থাকা সু-চির স্বামী ও সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায়, সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না তিনি।
৬৬৪ আসনের পার্লামেন্টে মোট নির্বাচিত এমপির সংখ্যা ৪৯১। এর মধ্যে সু চি’র দল এনএলডি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৩৯০ জন। তাই সুচির দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও, সংরক্ষিত ১৬৬ আসনের মালিক সেনাবাহিনীর প্রভাব থাকছেই।
আরও পড়ুন