চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালান চক্র
প্রকাশিত : ১১:০৭, ৯ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৭, ৯ মার্চ ২০১৭
চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাচালান চক্র। সম্প্রতি মেশিনারীজ যন্ত্রপাতি ঘোষণা দিয়ে আনা অবৈধ পণ্য পাচারের সময় আটক করা হয় ১২টি কন্টেইনার। এর আগে, একই কায়দায় পাচার হয় আরো ৭১টি কন্টেইনার। এসব চোরাচালানের সাথে শক্তিশালী চক্র জড়িত থাকার কথা জানিয়ে তথ্য উদঘাটনে নেমেছেন শুল্ক কর্মকর্তারা।
ভৌগলিক কারণে চট্টগ্রাম বন্দর দক্ষিন এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর। আর বন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ সবিধা নিয়ে সক্রিয় চোরাচালান চক্র। ভোজ্য তেলের ঘোষনা দিয়ে পাচারের সময় ২০১৫ সালে ধরা পড়ে বিপুল পরিমান তরল কোকেন। ধরা পড়ে কন্টেইনার বোঝাই ভারতীয় রুপি। সম্প্রতি আরো ১২টি কন্টেইনার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় কসমেটিক, সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্য পাচারের সময় ধরা পড়লেও মুল হোতারা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, মেশিনারীজ ঘোষণা দিয়ে চক্রটি বিদেশী মদ, সিগারেট এবং ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী আমদানী করে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, এর আগে একই কায়দায় ৭১টি কন্টেইনার পাচার করা হয়েছে। সেই বিষয়টিও খতিয়ে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে কেন চোরচালান চক্র সক্রিয়- এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ বলেন, বন্দরে পণ্য খালাসে পর্যান্ত স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন না করায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি বন্দরে আটক চালানটির রফতানীকারক চীনের যমরাজ ইন্ড্রাষ্টিজ। এমভি ভাসিসান এবং এমভি সিনার সুভাং নামে দু’টি জাহাজে এসব পণ্য বন্দরে আসে। ঢাকার খিলক্ষেতের হিনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং কেরানী গঞ্জের এগ্রো বিডি নামে দু’টি প্রতিষ্ঠান এসব পণ্য আমদানী করলেও, বাস্তবে তাদের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন