রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ ইসির
প্রকাশিত : ১২:১৬, ২ জুন ২০২০
নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। এতদিন দেশের দলগুলো নিবন্ধন হতো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ বা আরপিওর অধীনে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো দলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। তার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দলগুলোকে ইসি থেকে নিবন্ধন নিতে হতো না। সে সময় আরপিওর ৬(এ) অধ্যায়ে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়টি যোগ করা হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে, সংশ্লিষ্ট দলকে কমিশন থেকে নিবন্ধন পেতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও নিবন্ধিত দলের করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয় ৯০(এ) থেকে ৯০ (আই) ধারায়।
ইসি কর্মকর্তা বলছেন, আরপিও আইন নয়, তাই আলাদা একটি আইনের কথা ভাবা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে অধ্যাদেশ বা আদেশ থাকার চেয়ে আইনই বেশি শোভা পায়। তবে প্রায়োগিক দিক থেকে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।
ইতোমধ্যে আরপিও সংশোধন করে বাংলায় রূপান্তর করে আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ। আইন মন্ত্রণালয়ে এটি শিগগিরই পাঠানো হবে।
গতকাল ১ জুন অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিশন প্রস্তাবিত বিলের ওপর অনুমোদনও দিয়েছে। তবে এখান থেকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন অংশটুকু আলাদা করা হবে।
সূত্র জানায়, আইন শাখাকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধনের পৃথক আইন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে পৃথক আইন হলেও তেমন কোনো পরিবর্তন আনার আপাতত চিন্তা নেই। যদিও বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত কঠিন। নতুন দলগুলোর পক্ষে সব শর্ত পূরণ করা দুরূহ হয়ে পড়ে।
ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য পৃথক একটি আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এটি কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আইন হতে সময় লাগবে। প্রথমে ইসিতে অনুমোদন হবে, এরপর আইন মন্ত্রণালয়ের ভোটিং হবে, এরপর আবার ইসিতে আসবে। তারপর বিল আকারে সংসদে পাশ হলে আইন হবে। কাজেই সময় লাগবে।
এসএ/
আরও পড়ুন