দেশে কাজ হারিয়েছে সাড়ে ৩ কোটি মানুষ
প্রকাশিত : ১৭:২৪, ৮ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৯:৫৮, ৮ জুন ২০২০
করোনা ভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি (কার্যত লকডাউন) ঘোষণা করে সরকার। এ সময়ে (৬৬ দিন) দেশের ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। ফলে দেশের জিডিপির ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি ড. আবুল বারকাত।
আজ সোমবার ‘করোনায় মহাবিপর্যয়ে থেকে মুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা’ শীর্ষক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানান তিনি।
আবুল বারকাত জানান, লকডাউনে ৫ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের শ্রেণি কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে ২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ হতদরিদ্র হয়েছেন। তবে অতি ধনীর অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনে সেবা খাতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৬ কোটি, শিল্প খাতের ১ লাখ ২ হাজার ৪১ কোটি এবং কৃষি খাতে ২৬ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় প্রত্যাশিত জিডিপির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৩৫ শতাংশ। আর ক্ষতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।’
অর্থনীতি সমিতি জানায়, দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার আগে মোট ৬ কোটি ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। করোনায় কারণে এ পর্যন্ত যারা কর্মহীন হয়েছেন তাদের মধ্যে সেবা খাতে ১ কোটি ৫৩ লাখ, শিল্প খাতের ৯৩ লাখ এবং কৃষি খাতে ১ কোটি ১৪ লাখ। একই সঙ্গে আয় কমেছে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্য-বিত্তদের। এদে সংক্যা ৫ কোটি ৯৫ লাখ।
এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে নিন্মআয়ের ৪৭ শতাংশ মানুষের জন্য এককালীন ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার প্রস্তাব করেন আবুল বারকাত।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট হবে করোনা মোকাবেলার উল্লেখ করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়সহ দেশের ৮২ ভাগ মানুষের কাছে করোনার সেবা পৌঁছায়নি। দায়সারা কাজ হয়েছে। এই মুহূর্তের জন্য প্রয়োজন ছিল শক্তিশালী স্বাস্থ্য সেবা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য সেবা অত্যন্ত নাজুক। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে স্বাস্থ্য খাতের জন্য আগামী বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানিয়েছি।
আইএমএফের মতে করোনায় পৃথিবীর ৫০ ভাগ মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরের সংকোচনমূলক বাজেট চাই না, চাই সম্প্রসারণমূলক বাজেট।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি জেড এম সালেহ, সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন