ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

আরও ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে নাসিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৪, ১০ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ডিপ কোমায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এমপির শারীরিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই রয়েছে। 

রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। 

এদিকে, নাসিমের চিকিৎসায় নতুন করে আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আট সদস্যের এই মেডিকেল বোর্ড তাকে আরও ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে আস্তে আস্তে নাসিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতির আশাও করছেন চিকিৎসকরা।  

পরিবার ও চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া মঙ্গলবার বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার দ্বিতীয় দফায় মোহাম্মদ নাসিমের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে এই পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে। তবে তার অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এখনও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে ও সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও তার বাবার আশু সুস্থতা কামনা করে দোয়া করার জন্য দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।  

এর আগে নাসিমের চিকিৎসায় সোমবার রাতে আট সদস্যের নতুন মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে গঠিত এই মেডিকেল বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন নিউরো বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ, অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম, অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র কুণ্ডু, অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ, ডা. আবদুল মোমিন ও অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক। এই মেডিকেল বোর্ড মঙ্গলবারও নাসিমের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। 

বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আল ইমরান চৌধুরী মঙ্গলবার বিকেলে নাসিমের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন। মেডিকেল বোর্ডের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ব্রেইন স্ট্রোক ও অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তিনি ডিপ কোমায় রয়েছেন। মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা মঙ্গলবার পরীক্ষা করে দেখেছেন, তার অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, অবস্থার অবনতি হয়নি, আগের মতোই রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে আরও ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে চান। একই সঙ্গে খুব ধীরে ধীরে হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতির আশা করছেন তারা। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে নাসিমের সিটি স্ক্যান করা সম্ভব নয়। কারণ তার শরীরে যেসব সাপোর্টগুলো রয়েছে, সেসব যন্ত্রপাতি সরালে তার আরও সমস্যা হতে পারে। প্রেসার বেড়ে যেতে পারে।   

গত ১ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। এরপর পরীক্ষায় তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্লাজমা থেরাপিতে কিছুটা সুস্থ হলে ৫ জুন তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিনই ভোরে তার ব্রেইন স্ট্রোক হলে সকালে ওই হাসপাতালেই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। ৬ জুন অবস্থার আরও অবনতি ঘটায় তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার পাশাপাশি ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণের সময়সীমা পার হওয়ার পর নতুন করে আরেকটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হলো।  

এমবি//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি