চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান, আরো ১ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ২০:১৮, ১৬ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ২০:১৮, ১৬ মার্চ ২০১৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানা থেকে আরো এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, অভিযানে এক নারীসহ চার জঙ্গি নিহত হয়। আহত হয়েছে সোয়াতের ২ সদস্যসহ ৩ জন। জঙ্গিদের আত্মঘাতি বিস্ফোরণে উড়ে যায় বাড়ীর ছাদ। পুলিশ বলছে, সীতাকুণ্ড এলাকায় বিদেশীদের উপর হামলা এবং বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নাশকতা চালাতে জঙ্গিরা সংঘটিত হচ্ছিল।
বুধবার বিকেল থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এই বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। রাত ১১টা পর্যন্ত বাড়ির ভেতর থেকে দাফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছুঁড়ে জঙ্গিরা। জঙ্গি আস্তানা লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে একটার দিকে ঢাকা থেকে সোয়াত ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্য সহ পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞ দল পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। ভোর রাতে তারা অবস্থান নেন জঙ্গি আস্তানার আশপাশে।
বৃহস্পতিবার সকালে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরুর পর ৬টা ২০মিনিটে বাড়ির ছাদে সোয়াত টিমের সদস্যদের জাপটে ধরার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সেসময় তারা শরীরে থাকা বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ, উড়ে যায় বাড়ির ছাদ। ছিন্নভিন্ন হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে জঙ্গিদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। আহত হন সোয়াত টিমের দুই সদস্যসহ তিনজন। চলে মুহুর্মুহু গোলাগুলি।
প্রায় ১৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর জানালার গ্রিল কেটে দমকল বাহিনীর সহায়তায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদে বের করে আনেন ভবনে জিম্মি থাকা বাসিন্দাদের।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, নিহত জঙ্গিরা নব্য জেএমবি’র সদস্য। বিদেশীদের উপর হামলা এবং নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতে তারা সংগঠিত হচ্ছিলো।
এদিকে, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর ওই ভবনে তল্লাশী চালায় আইন শৃংখলা বাহিনী। ভবনের বিভিন্নস্থানে থাকা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এর আগে বুধবার সীতাকুণ্ডের নামারবাজার আমিরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি দম্পতিসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন