ঠাকুরগাঁও জেলার অনেক বধ্যভূমি অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে
প্রকাশিত : ১৫:০০, ২২ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১৫:০০, ২২ মার্চ ২০১৭
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও জেলার অনেক বধ্যভূমি। ঠাকুরগাঁওয়ে বধ্যভূমির সংখ্যা আনুমানিক ১৫টি। এরমধ্যে যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সংস্কারের অভাবে সেগুলোরও বেহাল দশা। বধ্যভূমিগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ করে চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাদের পরাজিত করে ঠাকুরগাঁও মহকুমা শত্র“মুক্ত করে মুক্তিবাহিনী। কিন্তু এরমধ্যে ৯ মাসের যুদ্ধে শহীদ হন ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
১৭ এপ্রিল হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে বড় গণহত্যা চালায় সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় আশপাশের ৪/৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে। এখানে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হলেও তা সংরক্ষণে তেমন কোন উদ্যোগ নেই।
সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে তাদের লাশ আব্দুর রশিদ ডিগ্রী কলেজের পাশে একটি কূপে ফেলে দেয়া হয়। এখানে নেই কোন স্মৃতি ফলক।
সদর উপজেলায় সাত শহীদের সমাধিটিও প্রায়ই হয়ে ওঠে মাদকসেবীদের আস্তানা।
ভোমরাদহ ইউনিয়নের দেশিয়াপাড়ায় শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী। সংরক্ষণ করা হয়নি এই স্থানটিও।
বধ্যভূমিগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ এবং চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এবিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ।
শুধু আশ্বাস নয়, দ্রুত এসব বধ্যভূমি চিহ্নিত করা ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমনটা দাবি মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন