স্বাস্থ্যসেবায় কোনরকম ঘাটতি রাখা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২২:৫৬, ১১ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ২২:৫৭, ১১ জুলাই ২০২০
দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোন ধরণের ঘাটতি বা কমতি রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে করোনার প্রকোপ চলছে। মহামারী যতই বৃহৎ আকারে থাকুক মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কোনরকম ঘাটতি রাখা যাবেনা। দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে শুরু করে শহর, গ্রাম সবখানেই এবং স্বাস্থ্যখাতের সব স্তরে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সমানভাবে অব্যাহত রাখতে হবে।
শনিবার (১১ জুলাই) ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ট প্রতিবেদককে মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মহামারি কোভিড-১৯ কে প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. অশা টর্কলসন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের পরিচালক ডা. আশরাফুন্নেসা প্রমুখ।
এদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো পরিবার পরিকল্পনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯-২০ পেয়েছেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল (হাসান সোহেল)। গত বছরও তিনি একই পুরষ্কার পান। সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবে ‘জনসংখ্যা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক ৩ পর্বের সিরিজ রিপোর্ট ‘১. গর্ভবতী মায়ের সেবা করোনায়ও স্বাভাবিক, ২. কায়রো থেকে নাইরোবি এবং ৩. অলৌকিক অর্জন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য তিনি এই পুরষ্কার পান।
এ বছর মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডে প্রিন্ট মিডিয়া (বাংলা) পুরষ্কার পান দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার মাইনুল হাসান সোহেল (হাসান সোহেল) এবং দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুল। প্রিন্ট মিডিয়া (ইংরেজী) পুরষ্কার পান বাংলাদেশ পোস্টের সিনথিয়া কায়নাত নূর এবং ডেইলি স্টারের নিলীমা জাহান। এছাড়া টেলিভিশন মিডিয়া পুরষ্কার পান গাজী টেলিভিশনের চীফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ এবং এটিএন বাংলা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শারফুল আলম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার মহা দুর্যোগের সময়ে এই আয়োজনকে মুজিব বর্ষের তাৎপর্যের উপর উৎসর্গ করে বলেন, আমাদের অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির পিতার নামে উদযাপিত মুজিব বর্ষকে সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না। তাই জনসংখ্যা দিবসের সকল কর্মকান্ড মুজিব বর্ষের নামেই উৎসর্গ করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় দেশের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাসপাতালসমুহে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে যে ৫২ হাজার কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের প্রত্যেককে সাধুবাদ জানাই ও মানুষের সেবায় প্রত্যেককে আরো নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
করোনায় সচেতনতার বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। করোনার সময়গুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাটাবেন। মাস্ক পরে বাসা থেকে বের হবেন। সামাজিক দূরত্ব তিন ফুট নয়, ছয় ফুট বজায় রাখবেন। তিনি বলেন, আমাদেও দেশে করোনার প্রভাবের কারণে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবাও কিছুটা কমেছে। করোনার মায়েদের ঘরের কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমা বেড়ে যেতে পারে। করোনা বৃদ্ধি পেলে বাল্যবিয়েও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য বিশেষভাবে ইনকিলাবের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান সোহেলকে অভিনন্দন জানান।
আরকে//
আরও পড়ুন